বাঁশখালীতে লবণের ন্যায্যমূল্য ও চাষীদের সহায়তা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন

  • Update Time : ০৬:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
  • / 130
চন্দন দেব নাথ, বাঁশখালী:
বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নে লবণ উৎপাদনকারী উপকূলীয় বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে লবণের ন্যায্য মূল্য ও লবণ চাষীদের সহায়তা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
.
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সরল ইউনিয়নের অনাবাদি পড়ে থাকা লবণ মাঠে লবণ উৎপাদনকারী উপকূলীয় বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি সালাউদ্দীন কাদের মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লবন চাষী নুরুল কাদের, ইসমাইল মেম্বার, বজল আহমদ, রাশেদ, মনির উদ্দীন, কবির আহমদ, নবী হোছন, নাছির, মনির আহমদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. ইদ্রিছ, মো. আবদু ছবুর, মো. আবু তালেক ও মো. জসিম উদ্দীন প্রমুখ।
.
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘লবণ চাষীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে লবণ উৎপাদন করেন। কিন্তু সেই পরিশ্রমের সুফল লবণ চাষীরা পান না। লবণের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষীরা লবণ চাষ হতে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। যেখানে গত দু’য়েক বছর আগেও প্রতি কানি (৪০ শতক) লবণ মাঠ লাগিয়ত হতো ২৫-৩০ হাজার টাকায় বর্তমানে তা ৫-৬ হাজার টাকায় লাগিয়ত হয়। প্রতিমণ লবণ তোলা এবং ধোলাই খরচ বাবদ ১৫০-১৮০ টাকা খরচ হলেও চাষীদের প্রতিমণ লবণের মূল্য পায় ৮০-১৩০ টাকা।
.
বাঁশখালীর সরলে প্রায় আড়াই হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হয়ে থাকে। লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বর্তমানে প্রায় জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। তাছাড়া লবণ চাষীরা সরকারী সুযোগ সুবিধাও বঞ্চিত রয়েছে। সরকার যদি লবণ চাষীদের যথাযথ সহায়তা প্রদান করেন তাহলে লবণ চাষীরা লবণ চাষে অনেকটা উৎসাহিত হবে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাঁশখালীতে লবণের ন্যায্যমূল্য ও চাষীদের সহায়তা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন

Update Time : ০৬:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
চন্দন দেব নাথ, বাঁশখালী:
বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নে লবণ উৎপাদনকারী উপকূলীয় বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে লবণের ন্যায্য মূল্য ও লবণ চাষীদের সহায়তা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
.
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সরল ইউনিয়নের অনাবাদি পড়ে থাকা লবণ মাঠে লবণ উৎপাদনকারী উপকূলীয় বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি সালাউদ্দীন কাদের মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লবন চাষী নুরুল কাদের, ইসমাইল মেম্বার, বজল আহমদ, রাশেদ, মনির উদ্দীন, কবির আহমদ, নবী হোছন, নাছির, মনির আহমদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. ইদ্রিছ, মো. আবদু ছবুর, মো. আবু তালেক ও মো. জসিম উদ্দীন প্রমুখ।
.
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘লবণ চাষীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে লবণ উৎপাদন করেন। কিন্তু সেই পরিশ্রমের সুফল লবণ চাষীরা পান না। লবণের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষীরা লবণ চাষ হতে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। যেখানে গত দু’য়েক বছর আগেও প্রতি কানি (৪০ শতক) লবণ মাঠ লাগিয়ত হতো ২৫-৩০ হাজার টাকায় বর্তমানে তা ৫-৬ হাজার টাকায় লাগিয়ত হয়। প্রতিমণ লবণ তোলা এবং ধোলাই খরচ বাবদ ১৫০-১৮০ টাকা খরচ হলেও চাষীদের প্রতিমণ লবণের মূল্য পায় ৮০-১৩০ টাকা।
.
বাঁশখালীর সরলে প্রায় আড়াই হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হয়ে থাকে। লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বর্তমানে প্রায় জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। তাছাড়া লবণ চাষীরা সরকারী সুযোগ সুবিধাও বঞ্চিত রয়েছে। সরকার যদি লবণ চাষীদের যথাযথ সহায়তা প্রদান করেন তাহলে লবণ চাষীরা লবণ চাষে অনেকটা উৎসাহিত হবে।