“টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই”- ডিসি নাটোর  

  • Update Time : ০৮:৫১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 132
 
এস ইসলাম, নাটোর:
নাটোরে ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় “আউট অব স্কুল চিলড্রেন কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
.
মঙ্গলবার ১৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ।
.
কর্মশালায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আলোথর নির্বাহী পরিচালক শামীমা লাইজু নীলার উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বাস্তবায়নাধীন আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অবহিত করা হয়।
.
বাস্তবায়ন কৌশল সম্পর্কে বলা হয়, দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের পরেও দারিদ্র, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারনে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে।
.
বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ শতাংশ এবং বিদ্যালয়ে ভর্ত্তি না হওয়ার হার প্রায় ২ শতাংশ। নাটোরসহ সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লক্ষ বিদ্যালয় বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের আগামী তিন বছরে শিখন কেন্দ্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে তৈরী করা হবে।
.
নাটোরের পাঁচটি উপজেলাসহ দেশের ৩৪৫টি উপজেলা এবং সকল সিটি কর্পোরেশনসহ ১৫টি শহর এলাকার নির্বাচিত উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিখন কেন্দ্র কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রতিদিন এসব শিখন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তিন ঘন্টা করে পাঠদান করা হবে। প্রতিটি শিখন কেন্দ্রে ৩০ জন করে শিক্ষার্থীর সকলেই সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে মাসে ৩০০ টাকা করে এবং গ্রাম এলাকাতে মাসে ১২০ টাকা করে উপবৃত্তি পাবে।
.
নাটোরের পাঁচটি উপজেলায় মোট সাড়ে তিনশথ শিখন কেন্দ্রে সাড়ে দশ হাজার শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
.
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাদিম সারওয়ার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোহাঃ জালালুম বাঈদ, এম কে অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, প্রফেসর অলোক মৈত্র, পিকেএসএস এর নির্বাহী পরিচালক ডেইজি আহমেদ প্রমুখ।
.
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের অভীস্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেশের সকল জনগোষ্ঠিকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্যে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


“টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই”- ডিসি নাটোর  

Update Time : ০৮:৫১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
 
এস ইসলাম, নাটোর:
নাটোরে ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় “আউট অব স্কুল চিলড্রেন কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
.
মঙ্গলবার ১৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ।
.
কর্মশালায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আলোথর নির্বাহী পরিচালক শামীমা লাইজু নীলার উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বাস্তবায়নাধীন আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অবহিত করা হয়।
.
বাস্তবায়ন কৌশল সম্পর্কে বলা হয়, দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের পরেও দারিদ্র, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারনে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে।
.
বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ শতাংশ এবং বিদ্যালয়ে ভর্ত্তি না হওয়ার হার প্রায় ২ শতাংশ। নাটোরসহ সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লক্ষ বিদ্যালয় বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের আগামী তিন বছরে শিখন কেন্দ্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে তৈরী করা হবে।
.
নাটোরের পাঁচটি উপজেলাসহ দেশের ৩৪৫টি উপজেলা এবং সকল সিটি কর্পোরেশনসহ ১৫টি শহর এলাকার নির্বাচিত উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিখন কেন্দ্র কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রতিদিন এসব শিখন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তিন ঘন্টা করে পাঠদান করা হবে। প্রতিটি শিখন কেন্দ্রে ৩০ জন করে শিক্ষার্থীর সকলেই সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে মাসে ৩০০ টাকা করে এবং গ্রাম এলাকাতে মাসে ১২০ টাকা করে উপবৃত্তি পাবে।
.
নাটোরের পাঁচটি উপজেলায় মোট সাড়ে তিনশথ শিখন কেন্দ্রে সাড়ে দশ হাজার শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
.
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাদিম সারওয়ার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোহাঃ জালালুম বাঈদ, এম কে অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, প্রফেসর অলোক মৈত্র, পিকেএসএস এর নির্বাহী পরিচালক ডেইজি আহমেদ প্রমুখ।
.
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের অভীস্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেশের সকল জনগোষ্ঠিকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্যে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।