কুয়াকাটায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ভিন্ন রকম চেষ্টা  

  • Update Time : ০৮:২১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 124

কুয়াকাটা সৈকতে দুই ঘণ্টাব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে সৈকতের জিরো পয়েন্টের দুদিকে এক কিলোমিটার এলাকা পরিষ্কাার করেন তারা। বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে সম্প্রতি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন সোহরাব হোসাইন। এরপর থেকে বদলে যেতে থাকে সৈকতের চিরচেনা দৃশ্য। কয়েক দিন ধরে সৈকতের ব্যবসায়ীদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিংয়ের পর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। তার ব্যবস্থাপনায় বেঞ্চ, ছাতা, ট্যুরিস্ট বোট, ট্যুরিস্ট গাইড, ক্যামেরাম্যান, স্ট্রিট ফুডসহ সৈকতের ব্যবসায়ীরাও এতে অংশ নেন।

সৈকত পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেয়া ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জোবায়ের আহম্মেদ বিন্দু বলেন, পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক নিজ থেকে। তার মতে, একজন পর্যটক হিসেবে তারও দায়িত্ব রয়েছে। একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য সৈকতে ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

jagonews24

প্রশস্ত ও ঝকঝকে সৈকতে নেমে বিমোহিত পর্যটক আনিসুর রহমান বলেন, সৈকত পরিচ্ছন্নতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ট্যুরিস্ট পুলিশের এমন কার্যক্রমের কথা জেনে তিনি আরও বলেন, রুটিন করে সৈকত পরিচ্ছন্নতায় নামা উচিত, সত্যিই এখন অসাধারণ লাগছে কুয়াকাটা সৈকতটি।

সৈকতের মোটরবাইক চালক সোহাগ ও ক্যামেরাম্যান বাদল বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের আয়োজনে সব কিছুই সুশৃঙ্খল অবস্থায় নিয়ে এসেছে।

পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে এমন দাবি করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সিনিয়র এএসপি সোহরাব হোসাইন বলেন, এখন থেকে রুটিন করে সপ্তাহে একদিন করে সৈকত পরিচ্ছন্নতায় নামা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুয়াকাটায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ভিন্ন রকম চেষ্টা  

Update Time : ০৮:২১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১

কুয়াকাটা সৈকতে দুই ঘণ্টাব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে সৈকতের জিরো পয়েন্টের দুদিকে এক কিলোমিটার এলাকা পরিষ্কাার করেন তারা। বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে সম্প্রতি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন সোহরাব হোসাইন। এরপর থেকে বদলে যেতে থাকে সৈকতের চিরচেনা দৃশ্য। কয়েক দিন ধরে সৈকতের ব্যবসায়ীদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিংয়ের পর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। তার ব্যবস্থাপনায় বেঞ্চ, ছাতা, ট্যুরিস্ট বোট, ট্যুরিস্ট গাইড, ক্যামেরাম্যান, স্ট্রিট ফুডসহ সৈকতের ব্যবসায়ীরাও এতে অংশ নেন।

সৈকত পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেয়া ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জোবায়ের আহম্মেদ বিন্দু বলেন, পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক নিজ থেকে। তার মতে, একজন পর্যটক হিসেবে তারও দায়িত্ব রয়েছে। একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য সৈকতে ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

jagonews24

প্রশস্ত ও ঝকঝকে সৈকতে নেমে বিমোহিত পর্যটক আনিসুর রহমান বলেন, সৈকত পরিচ্ছন্নতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ট্যুরিস্ট পুলিশের এমন কার্যক্রমের কথা জেনে তিনি আরও বলেন, রুটিন করে সৈকত পরিচ্ছন্নতায় নামা উচিত, সত্যিই এখন অসাধারণ লাগছে কুয়াকাটা সৈকতটি।

সৈকতের মোটরবাইক চালক সোহাগ ও ক্যামেরাম্যান বাদল বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের আয়োজনে সব কিছুই সুশৃঙ্খল অবস্থায় নিয়ে এসেছে।

পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে এমন দাবি করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সিনিয়র এএসপি সোহরাব হোসাইন বলেন, এখন থেকে রুটিন করে সপ্তাহে একদিন করে সৈকত পরিচ্ছন্নতায় নামা হবে।