সংগ্রহে ২০ হাজার টেডি বিয়ার, গিনেস বুকে নাম

  • Update Time : ১১:৪৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 128
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
.
হাঙ্গেরির ভ্যালেরিয়া স্মিট যার সংগ্রহে আছে ২০ হাজার টেডি বিয়ার৷ আর এই টেডি বিয়ারের জন্যই গিনেজ বুকে নাম উঠেছে তার। ৪০ বছর ধরে টেডি বিয়ার সংগ্রহ করছেন তিনি। এগুলি তার বেঁচে থাকার অবলম্বন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

‘টেডি বিয়ার মামা’ নামে পরিচিত ভ্যালেরিয়ার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লিখিয়েছেন ২০২৯ সালে৷ তাকে নিয়েই সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স৷

ভ্যালেরিয়ার সংগ্রহে যখনই ১৩ হাজার টেডি চলে এসেছিল, তখনই হাঙ্গেরিয়ান পুরস্কার পান তিনি৷ তারপরেই ভাবেন গিনেসের কথা৷ গত চার দশক ধরে টেডি জমানো ভ্যালেরিয়া বলছেন, ‘আমি ৪০ বছর ধরে টেডি সংগ্রহ করছি৷ ১৩ হাজার টেডি হওয়ার পরেই হাঙ্গেরিয়ান পুরস্কার পাই৷ তখনই ভাবি গিনেস রেকর্ডের জন্য একবার চেষ্টা করা যাক।’

ভ্যালেরিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সে এত টেডি নিয়ে ঠিক কী করেন? ভ্যালেরিয়া বললেন, ‘আমি নার্সারি, প্রি-স্কুল ও গরীব পরিবারকে দিয়ে থাকি টেডি৷শিশুদের নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে সেখানে প্রদর্শনী করি৷ সেখানে থেরাপেটিক টেডি বিয়ার কর্নার করি ৩০-৫০টি টেডি নিয়ে৷ বাচ্চারা এসে যাতে খেলতে পারে।’

ভ্যালেরিয়ার জীবনে এক সময় এই টেডিই ছিল বেঁচে থাকার অবলম্বন৷ তার শৈশব অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে৷ বাবা-মা’র ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর, ভ্যালেরিয়ার মা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন৷ সে সময় টেডিই তাকে জীবনের যাবতীয় ঝড়ঝঞ্ঝা থেকে দূরে রেখেছিল৷ এমনটাই জানিয়েছে ভ্যালেরিয়া

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সংগ্রহে ২০ হাজার টেডি বিয়ার, গিনেস বুকে নাম

Update Time : ১১:৪৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
.
হাঙ্গেরির ভ্যালেরিয়া স্মিট যার সংগ্রহে আছে ২০ হাজার টেডি বিয়ার৷ আর এই টেডি বিয়ারের জন্যই গিনেজ বুকে নাম উঠেছে তার। ৪০ বছর ধরে টেডি বিয়ার সংগ্রহ করছেন তিনি। এগুলি তার বেঁচে থাকার অবলম্বন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

‘টেডি বিয়ার মামা’ নামে পরিচিত ভ্যালেরিয়ার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লিখিয়েছেন ২০২৯ সালে৷ তাকে নিয়েই সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স৷

ভ্যালেরিয়ার সংগ্রহে যখনই ১৩ হাজার টেডি চলে এসেছিল, তখনই হাঙ্গেরিয়ান পুরস্কার পান তিনি৷ তারপরেই ভাবেন গিনেসের কথা৷ গত চার দশক ধরে টেডি জমানো ভ্যালেরিয়া বলছেন, ‘আমি ৪০ বছর ধরে টেডি সংগ্রহ করছি৷ ১৩ হাজার টেডি হওয়ার পরেই হাঙ্গেরিয়ান পুরস্কার পাই৷ তখনই ভাবি গিনেস রেকর্ডের জন্য একবার চেষ্টা করা যাক।’

ভ্যালেরিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সে এত টেডি নিয়ে ঠিক কী করেন? ভ্যালেরিয়া বললেন, ‘আমি নার্সারি, প্রি-স্কুল ও গরীব পরিবারকে দিয়ে থাকি টেডি৷শিশুদের নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে সেখানে প্রদর্শনী করি৷ সেখানে থেরাপেটিক টেডি বিয়ার কর্নার করি ৩০-৫০টি টেডি নিয়ে৷ বাচ্চারা এসে যাতে খেলতে পারে।’

ভ্যালেরিয়ার জীবনে এক সময় এই টেডিই ছিল বেঁচে থাকার অবলম্বন৷ তার শৈশব অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে৷ বাবা-মা’র ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর, ভ্যালেরিয়ার মা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন৷ সে সময় টেডিই তাকে জীবনের যাবতীয় ঝড়ঝঞ্ঝা থেকে দূরে রেখেছিল৷ এমনটাই জানিয়েছে ভ্যালেরিয়া