রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আজ

  • Update Time : ১১:২৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 136

বিশেষ সংবাদদাতা:

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিব পর্যায়ে ভার্চুয়ালি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

করোনাভাইরাস মহামারি এবং মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনের কারণে ঢাকা ও নেপিদো’র মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আলোচনা প্রায় এক বছর ধরে স্থগিত ছিল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় এবার চীনের মধ্যস্থতায় এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেইজিং থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের সাথে যোগ দেবেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার লুও ঝাওহুই।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনকে এ সঙ্কটের একমাত্র সমাধান হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যত দ্রুত সম্ভব তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও চীন বৈঠকে মিয়ানমারকে তাদের মতামত জানাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৮ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার মাত্র ৪২ হাজার মানুষের তথ্য যাচাই করেছে। এ বিষয়ে তাদের গুরুত্বের অভাব রয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়েছিল মিয়ানমার।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে শুরু হওয়া সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা অভিযানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্বিচারে দমন-পীড়ন চালানো হয়। ওই সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। ২০২০ সালে মর্যাদার সাথে নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের স্বপ্ন দেখেছিল রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এখন শুরু হয়েছে নতুন একটি বছর, আবারও স্বপ্ন দেখছে তারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আজ

Update Time : ১১:২৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১

বিশেষ সংবাদদাতা:

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিব পর্যায়ে ভার্চুয়ালি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

করোনাভাইরাস মহামারি এবং মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনের কারণে ঢাকা ও নেপিদো’র মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আলোচনা প্রায় এক বছর ধরে স্থগিত ছিল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় এবার চীনের মধ্যস্থতায় এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেইজিং থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের সাথে যোগ দেবেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার লুও ঝাওহুই।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনকে এ সঙ্কটের একমাত্র সমাধান হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যত দ্রুত সম্ভব তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও চীন বৈঠকে মিয়ানমারকে তাদের মতামত জানাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৮ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার মাত্র ৪২ হাজার মানুষের তথ্য যাচাই করেছে। এ বিষয়ে তাদের গুরুত্বের অভাব রয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়েছিল মিয়ানমার।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে শুরু হওয়া সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা অভিযানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্বিচারে দমন-পীড়ন চালানো হয়। ওই সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। ২০২০ সালে মর্যাদার সাথে নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের স্বপ্ন দেখেছিল রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এখন শুরু হয়েছে নতুন একটি বছর, আবারও স্বপ্ন দেখছে তারা।