এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার বিচার শুরু

  • Update Time : ০১:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / 142
নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়েছে।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিতুল হক আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

এ সময় আসামিদের সবাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের পক্ষে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর অব্যাহতি চেয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে আবেদন করলে তা খারিজ করেন আদালত। এছাড়া, রনির পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা খারিজ করেন আদালতের বিচারক।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট শুনানিতে অংশ নেন।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।

এর আগে ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর কথা থাকলেও বাদী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার মামলার কগনিজেন্স (আমল গ্রহণ) শুনানির দিন ধার্য করা দিন ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি পক্ষ অব্যাহতি চেয়ে জামিন আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেন বিচারক।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ আটজন গ্রেফতার করা হয়।

এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আসামি রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার বিচার শুরু

Update Time : ০১:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়েছে।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিতুল হক আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

এ সময় আসামিদের সবাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের পক্ষে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর অব্যাহতি চেয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে আবেদন করলে তা খারিজ করেন আদালত। এছাড়া, রনির পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা খারিজ করেন আদালতের বিচারক।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট শুনানিতে অংশ নেন।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।

এর আগে ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর কথা থাকলেও বাদী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার মামলার কগনিজেন্স (আমল গ্রহণ) শুনানির দিন ধার্য করা দিন ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি পক্ষ অব্যাহতি চেয়ে জামিন আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেন বিচারক।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ আটজন গ্রেফতার করা হয়।

এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আসামি রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন।