আজ রোববার (১৭ই জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।
এর আগে, গত ১০ই জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। মামলায় সর্বমোট ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১লা নভেম্বরে সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/১ বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে (ও লেভেল শিক্ষার্থী) গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আদা-রসুন-পেঁয়াজ আমদানিকারক।
ওই ঘটনায় গত ২রা নভেম্বর নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ১৬ই জুলাই ওই তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী হোসেন। গত বছর ৩১শে জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।