ভারতে করোনার ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ গণ টিকাদান শুরু

  • Update Time : ১২:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / 136

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের গণটিকা শুরু হয়েছে ভারতে। বিশ্বের বৃহত্তম এই টিকাদান কর্মসূচিতে দেশটির তিন হাজার ছয়টি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেয়া হবে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

টিকাকরণ শুরু হলেও, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আগের মতোই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানান মোদি। মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান তিনি।

ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রযুক্তি নিয়ে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, এই দু’টি প্রতিষেধক নিয়েই ভারতে টিকাকরণ শুরু হল।

প্রথম দফায় সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদেরই টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনেই ওই প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনের শরীরে প্রতিষেধক প্রয়োগের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। অর্থাৎ প্রথম দিনেই প্রায় ৩ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিষেধক নেবেন।

মহামারী মোকাবেলায় দিল্লির টাস্ক ফোর্সের ডা. সুনীলা গার্গ এনডিটিভিকে বলেন, শুরুতেই যারা টিকা পাবেন তাদের বয়স ৫০ বছরের কম। এই তালিকায় থাকা বেশিরভাগই নার্স, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং তরুণ চিকিৎসক।

প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ কবে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে ফোনে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছে ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। টিকা নিয়ে কোনও গুজব ছড়ানো উচিত নয়। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। প্রথম দফা টিকাদান কর্মসূচি শেষ হতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

করোনায় ক্ষতির দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩ হাজার ৬৫৯ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ১৩০ জন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ভারতে করোনার ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ গণ টিকাদান শুরু

Update Time : ১২:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের গণটিকা শুরু হয়েছে ভারতে। বিশ্বের বৃহত্তম এই টিকাদান কর্মসূচিতে দেশটির তিন হাজার ছয়টি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেয়া হবে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

টিকাকরণ শুরু হলেও, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আগের মতোই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানান মোদি। মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান তিনি।

ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রযুক্তি নিয়ে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, এই দু’টি প্রতিষেধক নিয়েই ভারতে টিকাকরণ শুরু হল।

প্রথম দফায় সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদেরই টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনেই ওই প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনের শরীরে প্রতিষেধক প্রয়োগের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। অর্থাৎ প্রথম দিনেই প্রায় ৩ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিষেধক নেবেন।

মহামারী মোকাবেলায় দিল্লির টাস্ক ফোর্সের ডা. সুনীলা গার্গ এনডিটিভিকে বলেন, শুরুতেই যারা টিকা পাবেন তাদের বয়স ৫০ বছরের কম। এই তালিকায় থাকা বেশিরভাগই নার্স, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং তরুণ চিকিৎসক।

প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ কবে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে ফোনে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছে ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। টিকা নিয়ে কোনও গুজব ছড়ানো উচিত নয়। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। প্রথম দফা টিকাদান কর্মসূচি শেষ হতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

করোনায় ক্ষতির দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩ হাজার ৬৫৯ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ১৩০ জন।