ইরানের সবচেয়ে বড় সামরিক জাহাজ উন্মোচন

  • Update Time : ১০:০৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / 163

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানের নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক জাহাজ। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে সামুদ্রিক এক ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ায় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় আইআরএস মাকরান। নিজ দেশে তৈরি জাহাজটি পাঁচটি হেলিকপ্টার বহনে সক্ষম। একই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় সক্ষম আরও একটি জাহাজ ইরানি নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্র বিশেষ করে সৌদি আরব ও ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিরাপত্তা হুমকি বলে বিবেচনা করে থাকে। তাদের আশঙ্কা হলো তেহরান হয়তো তাদের দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পারমাণবিক অস্ত্র ছুঁড়ে ফেলতে পারে।

বুধবার ইরানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়া আইআরএস মাকরান ২২৮ মিটার দীর্ঘ। একটি তেলের ট্যাংকারকে এই জাহাজে পরিণত করা হয়েছে। এটি নৌবাহিনীর সরঞ্জাম পৌঁছানো, তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালানো, বিশেষ বাহিনী মোতায়েন, চিকিৎসা সহায়তা এবং দ্রুতগামী জাহোজের বেজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

জাহাজটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করার সময়ে ইরান দুই দিনের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালাচ্ছে। ওমান সাগরে চলা এই মহড়ায় সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া, মনুষ্যবিহীন আকাশযান মোতায়েনসহ নানা মহড়া চালানো হয়েছে। মহড়ার মুখপাত্র অ্যাডমিরাল হামজাহ আলি কাভিয়ানি বলেন, ‘এই মহড়া আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা শত্রুদের সম্ভাব্য হুমকির সময়মতো জবাব দেওয়ার সক্ষমতা মূল্যায়ন করতে পারবো আর দুর্বলতা এবং শক্তির দিক চিহ্নিত করে আমাতের কর্মদক্ষতা বাড়াতে পারবো।‘

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইরানের সবচেয়ে বড় সামরিক জাহাজ উন্মোচন

Update Time : ১০:০৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানের নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক জাহাজ। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে সামুদ্রিক এক ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ায় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় আইআরএস মাকরান। নিজ দেশে তৈরি জাহাজটি পাঁচটি হেলিকপ্টার বহনে সক্ষম। একই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় সক্ষম আরও একটি জাহাজ ইরানি নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্র বিশেষ করে সৌদি আরব ও ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিরাপত্তা হুমকি বলে বিবেচনা করে থাকে। তাদের আশঙ্কা হলো তেহরান হয়তো তাদের দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পারমাণবিক অস্ত্র ছুঁড়ে ফেলতে পারে।

বুধবার ইরানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়া আইআরএস মাকরান ২২৮ মিটার দীর্ঘ। একটি তেলের ট্যাংকারকে এই জাহাজে পরিণত করা হয়েছে। এটি নৌবাহিনীর সরঞ্জাম পৌঁছানো, তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালানো, বিশেষ বাহিনী মোতায়েন, চিকিৎসা সহায়তা এবং দ্রুতগামী জাহোজের বেজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

জাহাজটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করার সময়ে ইরান দুই দিনের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালাচ্ছে। ওমান সাগরে চলা এই মহড়ায় সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া, মনুষ্যবিহীন আকাশযান মোতায়েনসহ নানা মহড়া চালানো হয়েছে। মহড়ার মুখপাত্র অ্যাডমিরাল হামজাহ আলি কাভিয়ানি বলেন, ‘এই মহড়া আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা শত্রুদের সম্ভাব্য হুমকির সময়মতো জবাব দেওয়ার সক্ষমতা মূল্যায়ন করতে পারবো আর দুর্বলতা এবং শক্তির দিক চিহ্নিত করে আমাতের কর্মদক্ষতা বাড়াতে পারবো।‘