পাশাপাশি দেশটির পার্লামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে দেশটিতে। গত ৫০ বছরে মালয়েশিয়ায় এটাই দেশব্যাপী প্রথম কোনো জরুরি অবস্থা ঘোষণা। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫৫৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন কিছুদিনের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। জরুরি অবস্থার মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন হচ্ছে না বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে রাজার জারি করা এই জরুরি অবস্থা আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত থাকতে পারে।
মুহিউদ্দিন ইয়াসিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতে তার বেসামরিক সরকার কাজ চালিয়ে যাবে। এই জরুরি অবস্থা সামরিক অভ্যুত্থান নয়, কারফিউও দেওয়া হবে না।’ মুহিউদ্দিন তার বক্তব্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরপরই সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গত বছর দেশটির সাবাহ প্রদেশে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ি করা হচ্ছিল। এ জন্যই নতুন সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী জারি করা জরুরি অবস্থার মধ্যে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। তবে বিরোধীদলীয় সাংসদদের ভাষ্য, এই সংক্রমণ রোধে পুরো দেশ নয়, আংশিক লকডাউনই যথেষ্ট ছিল।