যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন আমদানি নিষিদ্ধ করল ইরান

  • Update Time : ০৮:৫৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 125

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। খবর আল জাজিরার।

শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে খামেনি বলেন, দুটি পশ্চিমা শক্তি থেকে আসা ভ্যাকসিনগুলোর প্রতি তার কোনও আস্থা নেই কারণ বিশ্বের অন্যতম বেশির মৃত্যুর হারে (করোনায়) রয়েছে এই দেশ দুটি

তিনি বলেন, ‘যদি মার্কিনিরা ভ্যাকসিন বানাতে পারত তাহলে তাদের নিজেদের দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তারা ব্যর্থ হত না। করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ৪ হাজার করে মানুষ মারা যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

‘যদি তারা ভ্যাকসিন বানিয়ে থাকে, যদি তাদের ফাইজার কারখানা একটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে তাহলে এটি তারা কেন আমাদের দিতে চায়? তাদের নিজেদের এটা নেয়া উচিত যেন তাদের অনেক মৃত্যু না হয়।’একই কথা যুক্তরাজ্যের জন্য প্রযোজ্য বলেও খামেনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিনের প্রতি তার আস্থা নেই কারণ তারা তাদের ভ্যাকসিনগুলোর পরীক্ষা অন্য জাতির ওপর করেছে।

১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে আক্রান্ত রক্ত সংক্রান্ত স্ক্যান্ডালের কারণে ফ্রান্সের ওপরেও তার সন্দেহ আছে বলে উল্লেখ করেন খামেনি।

উল্লেখ্য, ফ্রান্স থেকে যে দেশগুলো সেসময় রক্তের নমুনা নিয়েছিল ইরানও তাদের অন্যতম। পরে দেখা যায় নমুনাগুলো এইচআইভি আক্রান্ত। ওই রক্তের দ্বারা শত শত ইরানি নাগরিক হেমোফিলিয়া রোগে আক্তান্ত হয়। এজন্য কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি বলেও দাবি করে আসছে ইরান।

ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুখপাত্র জানান, খামেনির এই আদেশের ফলে সংস্থাটির দাতাদের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের ডোজ আমদানির পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে গেল।

শুক্রবারের ভাষণে ইরানে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগের প্রশংসা করে খামেনি বলেন, এটি তাদের গর্বের উৎস।

গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ইরান তাদের প্রথম ভ্যাকসিন প্রার্থী ‘কোভইরান বারেকাট’ এর প্রথম মানব ট্রায়াল শুরু করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন আমদানি নিষিদ্ধ করল ইরান

Update Time : ০৮:৫৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। খবর আল জাজিরার।

শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে খামেনি বলেন, দুটি পশ্চিমা শক্তি থেকে আসা ভ্যাকসিনগুলোর প্রতি তার কোনও আস্থা নেই কারণ বিশ্বের অন্যতম বেশির মৃত্যুর হারে (করোনায়) রয়েছে এই দেশ দুটি

তিনি বলেন, ‘যদি মার্কিনিরা ভ্যাকসিন বানাতে পারত তাহলে তাদের নিজেদের দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তারা ব্যর্থ হত না। করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ৪ হাজার করে মানুষ মারা যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

‘যদি তারা ভ্যাকসিন বানিয়ে থাকে, যদি তাদের ফাইজার কারখানা একটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে তাহলে এটি তারা কেন আমাদের দিতে চায়? তাদের নিজেদের এটা নেয়া উচিত যেন তাদের অনেক মৃত্যু না হয়।’একই কথা যুক্তরাজ্যের জন্য প্রযোজ্য বলেও খামেনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিনের প্রতি তার আস্থা নেই কারণ তারা তাদের ভ্যাকসিনগুলোর পরীক্ষা অন্য জাতির ওপর করেছে।

১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে আক্রান্ত রক্ত সংক্রান্ত স্ক্যান্ডালের কারণে ফ্রান্সের ওপরেও তার সন্দেহ আছে বলে উল্লেখ করেন খামেনি।

উল্লেখ্য, ফ্রান্স থেকে যে দেশগুলো সেসময় রক্তের নমুনা নিয়েছিল ইরানও তাদের অন্যতম। পরে দেখা যায় নমুনাগুলো এইচআইভি আক্রান্ত। ওই রক্তের দ্বারা শত শত ইরানি নাগরিক হেমোফিলিয়া রোগে আক্তান্ত হয়। এজন্য কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি বলেও দাবি করে আসছে ইরান।

ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুখপাত্র জানান, খামেনির এই আদেশের ফলে সংস্থাটির দাতাদের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের ডোজ আমদানির পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে গেল।

শুক্রবারের ভাষণে ইরানে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগের প্রশংসা করে খামেনি বলেন, এটি তাদের গর্বের উৎস।

গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ইরান তাদের প্রথম ভ্যাকসিন প্রার্থী ‘কোভইরান বারেকাট’ এর প্রথম মানব ট্রায়াল শুরু করেছে।