মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, নিহত ১

  • Update Time : ০৮:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 122
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে মাইকিং করে দুই গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়ানোর ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। পুঠিয়া ও চারঘাট এই দুই গ্রামের দুটি দলের সংঘের নিহত হয়েছে রেজাউল ইসলাম (৫৫) নামে ওই ব্যক্তি। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০জন

নিহত রেজাউল চারঘাটের মৃত হালিম উদ্দীন হাকিমের পুত্র। এঘটনায় পুলিশ ৮জনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে চারঘাটের হলিদাগাছি বাজারে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পুঠিয়ার দীঘলকান্দি ও চারঘাটের শিবপুর গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়। এরই জের ধরে শিবপুর এলাকার কয়েকজন যুবককে মারধর করে মোটরসাইকেল কেড়ে নেন দীঘলকান্দী গ্রামের কয়েকজন যুবক। এ বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দুই গ্রামের মানুষের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার সকালে দুই গ্রামবাসীর সমঝোতায় বসার কথা ছিলো। পরে বিকেলে বৈঠক বসে।

বানেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে চারঘাটের শিশিতলা বাজারে বৈঠক বসে। সেখানে পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম, পুঠিয়া থানার ওসি তদন্ত খালেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তারা দুপক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেন।  কিন্তু দীঘলকান্দী গ্রামের সবুজ আলী ও আবু শামা দেশীয় অস্ত্রসহ সেখান থেকে পুলিশের হাতে আটক হন। এতে করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান বৈঠক স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে দুপক্ষ মসজিদের মাইকে মাইকিং করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত রেজাউল ইসলামকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, দীর্ঘদিন তাদের মাঝে উত্তেজনা চলছিলো। দুই উপজেলার প্রশাসনের উদ্যেগে বিষয়টি সমাধানের জন্য বৈঠক বসানো হয়েছিলো। কিন্তু তারা আগে থেকেই মারামারি করার প্রস্তুতি নিয়েছিলো। তা বুঝতে পেরে সভা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে জানতে পারি সেখানে মারামারি হয়েছে।

চারঘাটের উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম জানান, সভা শুরুর পরই দুজনকে অস্ত্রসহ আটক হয়। তখনই উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশকে পরিস্থিতি সামাল দিতে বলা হয়। কিন্তু তারা মাইকিং করে মারামারি করেছে।

চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আমরা দুপক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছিলাম। এরই মধ্যে আবার সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, নিহত ১

Update Time : ০৮:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে মাইকিং করে দুই গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়ানোর ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। পুঠিয়া ও চারঘাট এই দুই গ্রামের দুটি দলের সংঘের নিহত হয়েছে রেজাউল ইসলাম (৫৫) নামে ওই ব্যক্তি। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০জন

নিহত রেজাউল চারঘাটের মৃত হালিম উদ্দীন হাকিমের পুত্র। এঘটনায় পুলিশ ৮জনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে চারঘাটের হলিদাগাছি বাজারে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পুঠিয়ার দীঘলকান্দি ও চারঘাটের শিবপুর গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়। এরই জের ধরে শিবপুর এলাকার কয়েকজন যুবককে মারধর করে মোটরসাইকেল কেড়ে নেন দীঘলকান্দী গ্রামের কয়েকজন যুবক। এ বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দুই গ্রামের মানুষের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার সকালে দুই গ্রামবাসীর সমঝোতায় বসার কথা ছিলো। পরে বিকেলে বৈঠক বসে।

বানেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে চারঘাটের শিশিতলা বাজারে বৈঠক বসে। সেখানে পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম, পুঠিয়া থানার ওসি তদন্ত খালেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তারা দুপক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেন।  কিন্তু দীঘলকান্দী গ্রামের সবুজ আলী ও আবু শামা দেশীয় অস্ত্রসহ সেখান থেকে পুলিশের হাতে আটক হন। এতে করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান বৈঠক স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে দুপক্ষ মসজিদের মাইকে মাইকিং করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত রেজাউল ইসলামকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, দীর্ঘদিন তাদের মাঝে উত্তেজনা চলছিলো। দুই উপজেলার প্রশাসনের উদ্যেগে বিষয়টি সমাধানের জন্য বৈঠক বসানো হয়েছিলো। কিন্তু তারা আগে থেকেই মারামারি করার প্রস্তুতি নিয়েছিলো। তা বুঝতে পেরে সভা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে জানতে পারি সেখানে মারামারি হয়েছে।

চারঘাটের উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম জানান, সভা শুরুর পরই দুজনকে অস্ত্রসহ আটক হয়। তখনই উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশকে পরিস্থিতি সামাল দিতে বলা হয়। কিন্তু তারা মাইকিং করে মারামারি করেছে।

চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আমরা দুপক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছিলাম। এরই মধ্যে আবার সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।