এ যেন মৌমাছিদের বাড়ি

  • Update Time : ০৭:১৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / 164

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা:

দোতলা ভবনের জানালার কার্নিশ, বেলকুনির নিচের অংশ ও বাড়ির ভেতরের গাছে বাসা বেঁধে আছে মৌমাছি। বাড়ির ভেতর ও বাইরের আঙিনার সব খানেই মৌমাছির আনাগোনা।

তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কামাড়শোন গ্রামের আজিজুর রহমানের এ বাড়িতে রয়েছে ছোট-বড় ৩০টিরও বেশি মৌমাছির বাসা।

আজিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘ এক যুগ ধরে তার বাড়িতে মৌমাছিরা বাসা বেঁধে আছে। শুধু পাকা বাড়ির সাথে নয়, বাড়ির ভেতরে একটি জাম্বুরা গাছেও বাসা বেঁধেছে মৌমাছি।

তিনি আরো বলেন, তার তিন বছর বয়সী মেয়ে তুবা বাড়িতে প্রায় ছুটোছুটি করে। কখনো মৌমাছির বাসার নিকটেও চলে যায়। কিন্তু মৌমাছি তাকে কামড় দেয় না। মৌয়াল মধু কিনতে বাড়ি এলেও তাদের কাছে মধু বিক্রি করি না। এ বাড়িটি লোকজন মৌমাছির বাড়ি হিসেবেই চিনে। দৃষ্টিনন্দন মৌচাক দেখতে দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন।

প্রভাষক মো. ওবায়দুল হোসাইন বলেন, পাশের লালুয়া মাঝিরা গ্রামে এক মৌয়ালের কাছ থেকে শুনে তিনি এসেছেন। বাড়িটিতে মৌমাছির বাসাগুলো সত্যিই দৃষ্টিনন্দন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজিজুর রহমানের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ পথের বামের বেলকুনির নিচে কাছাকাছি স্থানে তিনটি মৌমাছির বাসা। প্রতিটি জানালার কার্নিশেও রয়েছে মৌমাছির বাসা। বাড়ির ভেতরে একটি জাম্বুরা গাছের ডালেও মৌমাছি ছোট-বড় ১২টি বাসা বেঁধে আছে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম বলেন, মৌমাছিরা ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে বনজ, ফলদ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে বাড়ি বাড়ি ও বন-জঙ্গলে মৌমাছির সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এ যেন মৌমাছিদের বাড়ি

Update Time : ০৭:১৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা:

দোতলা ভবনের জানালার কার্নিশ, বেলকুনির নিচের অংশ ও বাড়ির ভেতরের গাছে বাসা বেঁধে আছে মৌমাছি। বাড়ির ভেতর ও বাইরের আঙিনার সব খানেই মৌমাছির আনাগোনা।

তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কামাড়শোন গ্রামের আজিজুর রহমানের এ বাড়িতে রয়েছে ছোট-বড় ৩০টিরও বেশি মৌমাছির বাসা।

আজিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘ এক যুগ ধরে তার বাড়িতে মৌমাছিরা বাসা বেঁধে আছে। শুধু পাকা বাড়ির সাথে নয়, বাড়ির ভেতরে একটি জাম্বুরা গাছেও বাসা বেঁধেছে মৌমাছি।

তিনি আরো বলেন, তার তিন বছর বয়সী মেয়ে তুবা বাড়িতে প্রায় ছুটোছুটি করে। কখনো মৌমাছির বাসার নিকটেও চলে যায়। কিন্তু মৌমাছি তাকে কামড় দেয় না। মৌয়াল মধু কিনতে বাড়ি এলেও তাদের কাছে মধু বিক্রি করি না। এ বাড়িটি লোকজন মৌমাছির বাড়ি হিসেবেই চিনে। দৃষ্টিনন্দন মৌচাক দেখতে দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন।

প্রভাষক মো. ওবায়দুল হোসাইন বলেন, পাশের লালুয়া মাঝিরা গ্রামে এক মৌয়ালের কাছ থেকে শুনে তিনি এসেছেন। বাড়িটিতে মৌমাছির বাসাগুলো সত্যিই দৃষ্টিনন্দন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজিজুর রহমানের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ পথের বামের বেলকুনির নিচে কাছাকাছি স্থানে তিনটি মৌমাছির বাসা। প্রতিটি জানালার কার্নিশেও রয়েছে মৌমাছির বাসা। বাড়ির ভেতরে একটি জাম্বুরা গাছের ডালেও মৌমাছি ছোট-বড় ১২টি বাসা বেঁধে আছে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম বলেন, মৌমাছিরা ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে বনজ, ফলদ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে বাড়ি বাড়ি ও বন-জঙ্গলে মৌমাছির সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।