শীতে ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত পায়ের যত্ন নিন

  • Update Time : ০৮:১১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
  • / 185

ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এই সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়, চেষ্টা করুন শীতের কয়েকমাস নিয়মিত পায়ের যত্ন নেওয়ার

একটু শীত পড়তে না পড়তেই যেন সমস্যার শেষ নেই! আজ মুখ শুকিয়ে কাঠ, তো কাল চুলের মুখ ভার। আর ঠোঁট ফাটা, পা ফাটা, খসখসে কনুই এসব তো রয়েইছে। এতে সৌন্দর্য তো নষ্ট হয়ই তবে প্রয়োজনীয় যত্ন না নিলে তা অত্যন্ত বেদনাদায়কও হতে পারে। ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এই সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়। চেষ্টা করুন, শীতের কয়েকমাস নিয়মিত পায়ের যত্ন নেওয়ার। যতদিন যত্ন চলবে, ততদিন পা যেন সবসময় ভিজে না থাকে, সেদিকেও খেয়ার রাখবেন।

যেভাবে যত্ন নেবেন

১. পা ফাটার সমস্যা থাকলে আগে ওপরে জমে থাকা মৃত কোষের আস্তরণ সরানো প্রয়োজন। গোসলের সময় বা পা ভিজে থাকা অবস্থায় স্ক্রাবিং করতে পারেন।

২. মনে রাখতে হবে, গোড়ালির ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেকটাই পুরু হয়, তাই সাধারণ স্ক্রাব যথেষ্ট নয়। পিউমিস স্টোন, লেবু ও চিনির মিশ্রণ, চালের গুড়ো ইত্যাদি দিয়ে পা ঘষুন।

৩. বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফুট স্ক্রাব পাওয়া যায়। সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। সার্কুলার মোশনে ভালভাবে মিনিট ৫-৭ ঘষে পনি দিয়ে ধুয়ে নিন।

৪. এরপর পা শুকনো করে মুছে কোনও ঘন ক্রিম লাগান। শিয়া বাটার, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি রয়েছে, এমন ক্রিম ব্যবহার করুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই ক্রিম ব্যবহার করলে ভাল।

৫. মাসে একবার উষ্ণ পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে সেই পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। তারপর স্ক্রাবিং করুন। এতে ত্বক মসৃণ হবে।

৬. বাজারে কিছু অ্যালুমিনিয়ামের “বাফার” ব্রাশ পাওয়া যায়। এগুলো পা শুকনো থাকা অবস্থায় ব্যবহার করতে পারেন। ফাটা অংশ ঘষে মৃত কোষ সরিয়ে তারপর পা মুছে ময়শ্চারাইজ করুন।

৭. যাদের পা অতিরিক্ত ফাটা বা তা থেকে রক্তপাত হয়, তারা প্রথমেই স্ক্রাবিং করবেন না। ভিজে পা কোনও নরম তোয়ালে দিয়ে ঘষে মুছতে পারেন। এরপর ঘন ক্রিম লাগান। দিনকয়েক এভাবে পায়ের যত্ন নিন। এতে ক্ষত অনেকটা সেরে যাবে। তারপর স্ক্রাবিং করে যত্ন নিন।

৮. পেট্রোলিয়াম জেলিও পা ফাটা কমাতে সাহায্য করবে। রাতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সুতির মোজা পরে শুতে যান।

পা ফাটা কমাতে দু’টি ঘরোয়া প্যাক

এক. ২ চা চামচ দুধের সর, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি, ৫-৬টা আস্ত আমন্ড, ১ চা চামচ ক্যাস্টর বা নারকেল তেল ও আধা চা চামচ অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে বেটে নিন। মিশ্রণ বেশ ঘন ক্রিমের মতো হবে। গোসলের আগে পা ভিজিয়ে অতিরিক্ত পানি মুছে এই প্যাক ফাটা অংশের ওপর পুরু করে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা রেখে মুছে গোসল করে নিন। সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

দুই. ১টি অ্যাভোকাডোর ক্বাথ, ১ চা চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি, আধা চা চামচ গ্লিসারিন ও আধা চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে তাও ফুটপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বেশ উপকার পাবেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শীতে ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত পায়ের যত্ন নিন

Update Time : ০৮:১১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১

ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এই সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়, চেষ্টা করুন শীতের কয়েকমাস নিয়মিত পায়ের যত্ন নেওয়ার

একটু শীত পড়তে না পড়তেই যেন সমস্যার শেষ নেই! আজ মুখ শুকিয়ে কাঠ, তো কাল চুলের মুখ ভার। আর ঠোঁট ফাটা, পা ফাটা, খসখসে কনুই এসব তো রয়েইছে। এতে সৌন্দর্য তো নষ্ট হয়ই তবে প্রয়োজনীয় যত্ন না নিলে তা অত্যন্ত বেদনাদায়কও হতে পারে। ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এই সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়। চেষ্টা করুন, শীতের কয়েকমাস নিয়মিত পায়ের যত্ন নেওয়ার। যতদিন যত্ন চলবে, ততদিন পা যেন সবসময় ভিজে না থাকে, সেদিকেও খেয়ার রাখবেন।

যেভাবে যত্ন নেবেন

১. পা ফাটার সমস্যা থাকলে আগে ওপরে জমে থাকা মৃত কোষের আস্তরণ সরানো প্রয়োজন। গোসলের সময় বা পা ভিজে থাকা অবস্থায় স্ক্রাবিং করতে পারেন।

২. মনে রাখতে হবে, গোড়ালির ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেকটাই পুরু হয়, তাই সাধারণ স্ক্রাব যথেষ্ট নয়। পিউমিস স্টোন, লেবু ও চিনির মিশ্রণ, চালের গুড়ো ইত্যাদি দিয়ে পা ঘষুন।

৩. বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফুট স্ক্রাব পাওয়া যায়। সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। সার্কুলার মোশনে ভালভাবে মিনিট ৫-৭ ঘষে পনি দিয়ে ধুয়ে নিন।

৪. এরপর পা শুকনো করে মুছে কোনও ঘন ক্রিম লাগান। শিয়া বাটার, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি রয়েছে, এমন ক্রিম ব্যবহার করুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই ক্রিম ব্যবহার করলে ভাল।

৫. মাসে একবার উষ্ণ পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে সেই পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। তারপর স্ক্রাবিং করুন। এতে ত্বক মসৃণ হবে।

৬. বাজারে কিছু অ্যালুমিনিয়ামের “বাফার” ব্রাশ পাওয়া যায়। এগুলো পা শুকনো থাকা অবস্থায় ব্যবহার করতে পারেন। ফাটা অংশ ঘষে মৃত কোষ সরিয়ে তারপর পা মুছে ময়শ্চারাইজ করুন।

৭. যাদের পা অতিরিক্ত ফাটা বা তা থেকে রক্তপাত হয়, তারা প্রথমেই স্ক্রাবিং করবেন না। ভিজে পা কোনও নরম তোয়ালে দিয়ে ঘষে মুছতে পারেন। এরপর ঘন ক্রিম লাগান। দিনকয়েক এভাবে পায়ের যত্ন নিন। এতে ক্ষত অনেকটা সেরে যাবে। তারপর স্ক্রাবিং করে যত্ন নিন।

৮. পেট্রোলিয়াম জেলিও পা ফাটা কমাতে সাহায্য করবে। রাতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সুতির মোজা পরে শুতে যান।

পা ফাটা কমাতে দু’টি ঘরোয়া প্যাক

এক. ২ চা চামচ দুধের সর, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি, ৫-৬টা আস্ত আমন্ড, ১ চা চামচ ক্যাস্টর বা নারকেল তেল ও আধা চা চামচ অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে বেটে নিন। মিশ্রণ বেশ ঘন ক্রিমের মতো হবে। গোসলের আগে পা ভিজিয়ে অতিরিক্ত পানি মুছে এই প্যাক ফাটা অংশের ওপর পুরু করে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা রেখে মুছে গোসল করে নিন। সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

দুই. ১টি অ্যাভোকাডোর ক্বাথ, ১ চা চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি, আধা চা চামচ গ্লিসারিন ও আধা চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে তাও ফুটপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বেশ উপকার পাবেন।