ফিরে দেখা দেশের ক্রীড়াঙ্গন ২০২০

  • Update Time : ০১:৪২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 191

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

করোনায় ২০২০ সাল বিষাদের হলেও মাথা উচু করার মতো গর্বের স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ বছরই প্রথমবার আইসিসি যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় লালসবুজের দেশ।অস্ত গেল আরো একটি সূর্য। বিদায় নিল করোনা বিষে বিষাক্ত ২০২০।

বিষাদের বছরের শুরুটা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দিয়ে। যুবাদের বিশ্ব জয়। ভারতকে হারিয়ে সাউথ আফ্রিকার মাটিতে আকবর আলীরা উড়িয়েছে লাল-সবুজের পতাকা। যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেটে এনে দিয়েছে প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা, বিশ্বকাপ ট্রফি।

তবে, ক্রিকেটে বাকি গল্পটা হতাশার। টেস্টে ভারত-পাকিস্তানের সাথে হার। এরপর করোনায় বন্ধ সব।

দেশের ফুটবলেও বয়ে গেছে কোভিড ঝড়। ওসবের মাঝে চলতি বছরে ছয়টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। বছরের শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় কিছুটা রং ছড়ালেও ফিলিস্তিন আর বুরুন্ডির কাছে হেরে সেমিফাইনালেই স্বপ্নভঙ্গ হয় লাল-সবুজের।

নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের একটি জয় আর একটি ড্র। আর ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের কাছে ৫-০ গোলের হারে দিয়ে বছর শেষ করেছে জামাল ভূঁইয়ারা।

করোনায় ২০১৯-২০ প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত হয় মার্চে, পরে তা বাতিল ঘোষণা করে পেশাদার লিগ কমিটি। এএফসি কাপ বাতিল হওয়ায় আক্ষেপে পুড়েছে বসুন্ধরা কিংস।

বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও একবছর পিছিয়ে হবে ২০২১এর সেপ্টেম্বরে।

সাত বছর পর নারী লিগ শুরু হলেও করোনার কারণে থেমে যায়। নভেম্বরে ফের শুরু হয়। এতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বসুন্ধরা।

মাঠের ফুটবল ততটা ব্যস্ত না থাকলেও, থেমে ছিল না বাফুফের টেবিল ওয়ার্ক। করোনায় এপ্রিলে নির্বাচন পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হয় অক্টোবরে। এক যুগ দায়িত্ব পালনে নানা সমালোচনা থাকলেও চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিনই।

র‌্যাংকিংয়ে ১৫০য়ে আসার নতুন প্রতিশ্রুতি আর ফুটবলারদের জন্য একাডেমি ও জিমনেশিয়ামের কাজে হাত দেন মসনদে বসেই।

বাফুফে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সক্ষমতা দেখালেও মুজিব বর্ষ উদযাপনে করোনার কারণে তেমনটা পারেনি অন্য ফেডারেশনগুলো। সীমিত আকারে কিছু টুর্নামেন্টে আয়োজনেই সীমাবদ্ধ ছিল বিসিবি থেকে শুরু করে হকি, হ্যান্ডবল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। তবে অনলাইন আন্তর্জাতিক শ্যুটিং আর দাবায় এসেছে সাফল্য।

বছর শেষে বাদল রায়ের বিয়োগে কেঁদেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। ফুটবলার বাদল রায় দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকার পর ২২ নভেম্বর চিরদিনের জন্য পাড়ি জমান অপারে। সেপ্টেম্বরে করোনা কেড়ে নেয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য নওশেরুজ্জামানকে।

মঙ্গলের বার্তা নিয়ে নতুন বছরের নতুন সুর্য বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ এমন প্রত্যাশায়। বিদায় ২০২০। স্বাগত ২০২১।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফিরে দেখা দেশের ক্রীড়াঙ্গন ২০২০

Update Time : ০১:৪২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

করোনায় ২০২০ সাল বিষাদের হলেও মাথা উচু করার মতো গর্বের স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ বছরই প্রথমবার আইসিসি যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় লালসবুজের দেশ।অস্ত গেল আরো একটি সূর্য। বিদায় নিল করোনা বিষে বিষাক্ত ২০২০।

বিষাদের বছরের শুরুটা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দিয়ে। যুবাদের বিশ্ব জয়। ভারতকে হারিয়ে সাউথ আফ্রিকার মাটিতে আকবর আলীরা উড়িয়েছে লাল-সবুজের পতাকা। যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেটে এনে দিয়েছে প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা, বিশ্বকাপ ট্রফি।

তবে, ক্রিকেটে বাকি গল্পটা হতাশার। টেস্টে ভারত-পাকিস্তানের সাথে হার। এরপর করোনায় বন্ধ সব।

দেশের ফুটবলেও বয়ে গেছে কোভিড ঝড়। ওসবের মাঝে চলতি বছরে ছয়টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। বছরের শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় কিছুটা রং ছড়ালেও ফিলিস্তিন আর বুরুন্ডির কাছে হেরে সেমিফাইনালেই স্বপ্নভঙ্গ হয় লাল-সবুজের।

নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের একটি জয় আর একটি ড্র। আর ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের কাছে ৫-০ গোলের হারে দিয়ে বছর শেষ করেছে জামাল ভূঁইয়ারা।

করোনায় ২০১৯-২০ প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত হয় মার্চে, পরে তা বাতিল ঘোষণা করে পেশাদার লিগ কমিটি। এএফসি কাপ বাতিল হওয়ায় আক্ষেপে পুড়েছে বসুন্ধরা কিংস।

বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও একবছর পিছিয়ে হবে ২০২১এর সেপ্টেম্বরে।

সাত বছর পর নারী লিগ শুরু হলেও করোনার কারণে থেমে যায়। নভেম্বরে ফের শুরু হয়। এতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বসুন্ধরা।

মাঠের ফুটবল ততটা ব্যস্ত না থাকলেও, থেমে ছিল না বাফুফের টেবিল ওয়ার্ক। করোনায় এপ্রিলে নির্বাচন পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হয় অক্টোবরে। এক যুগ দায়িত্ব পালনে নানা সমালোচনা থাকলেও চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিনই।

র‌্যাংকিংয়ে ১৫০য়ে আসার নতুন প্রতিশ্রুতি আর ফুটবলারদের জন্য একাডেমি ও জিমনেশিয়ামের কাজে হাত দেন মসনদে বসেই।

বাফুফে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সক্ষমতা দেখালেও মুজিব বর্ষ উদযাপনে করোনার কারণে তেমনটা পারেনি অন্য ফেডারেশনগুলো। সীমিত আকারে কিছু টুর্নামেন্টে আয়োজনেই সীমাবদ্ধ ছিল বিসিবি থেকে শুরু করে হকি, হ্যান্ডবল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। তবে অনলাইন আন্তর্জাতিক শ্যুটিং আর দাবায় এসেছে সাফল্য।

বছর শেষে বাদল রায়ের বিয়োগে কেঁদেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। ফুটবলার বাদল রায় দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকার পর ২২ নভেম্বর চিরদিনের জন্য পাড়ি জমান অপারে। সেপ্টেম্বরে করোনা কেড়ে নেয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য নওশেরুজ্জামানকে।

মঙ্গলের বার্তা নিয়ে নতুন বছরের নতুন সুর্য বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ এমন প্রত্যাশায়। বিদায় ২০২০। স্বাগত ২০২১।