বিদায় দুঃখের ২০২০ সাল

  • Update Time : ০১:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 212

ইয়াহইয়া মোহাম্মদ জাবের হাসান:

অল্প কিছুক্ষণ পরই অতীতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ২০২০ সাল, আমার জীবন ক্যালেন্ডার থেকে মুছে
গেল আরো একটি বছর। আমাদের মুরুব্বিদেরকে হারানোর শোকে কাতর করে বিদায় নিল ২০২০
সাল।

তাদের মধে বিদায় নিলেন,“শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব (রহ:), তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী(রহ:) এবং মাওলানা যোবায়ের আনসারী (রহ:) হযরত মাওলানা মুফতী নূর হুসাইন কাসেমী সাহেব (রহ:), সহ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম।

এ সাল টি আমার এবং আমার পরিবারের মাঝে একটি শুকাবহ ইতিহাস রচনা করে গেল। বিদায় নিল
আমাদের পরিবারের নয়ণমনী উজানী মাদরাসায় যিনি ৪১ বছর যাবৎ খেদমতরত ছিলেন এবং বিলিয়ে
দিলেন জ্ঞানের আলো। সেই মহান মনীষী হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ সাহেব (রহ:) যিনি সম্পর্কে
আমার সম্মানিত ফুফাজী। আমার এ ক্ষুদধ জীবনে নববী আখলাক ও আদর্শ সম্পর্কে যতটুকু জ্ঞাত হয়েছি।
তার জীবনে সে ̧লোর বা ̄Íবরুপ দেখতে পেয়েছি। সব সময় সবার সাথে তিনি হাসিমুখে কথা বলতেন,
কারো সাথে রাগান্বিত হওয়া তো দূর। উচু স্বরেও কথা বলতেন না।

আমার শ্রদ্ধেয় বড় চাচাতো ভাই তিনি বলেন, “উজানী মাদ্রাসায় আমি অধ্যায়নকালে তার কামরায় থাকতাম, পাঁচ বৎসর আমার তার কামরায় অতিবাহিত হয়েছে, এই পুরো সময়ে মাত্র একটি বার তিনি আমার সাথে রাগ করেছিলেন, সেটা ছিল ক্ষনিকের জন। এতই নরম দ্বিলের অধিকারি ছিলেন তিনি। আজ ভোরে যখন আমি শয্যা ত্যাগ করি তখন থেকেই এই বিষয় ̧হৃদয়ের গভিরে ভেসে উঠলো।
ফজরের সালাত আদায়ের পর কিছুক্ষণ হেঁটে কামরায় ফিরলাম। সময় নিশ্চিত করতে ঘড়ির দিকে তাকানো মাত্রই সময়ের সাথে চোঁখের সামনে ডিজিটাল ঘড়িতে ভেসে আসল ৩১-১২-২০২০ ইং। বছরের এই বিদায় লগ্নতা দেখে পূর্বের সেই কষ্ট আরো প্রবল হল, নিজেকে ̄স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সামান্য সময়ের জন্য বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর একটু ভালো অনুভব করলাম। তারপর অযু সেরে ভাবলাম আজকের দিনটি আমার জীবন ডায়রীতে ̄স্বরণীয় হয়ে থাকুক, সাথে সাথে নিয়ত করলাম যে, বছরের শেষ মুহূর্তে আমাদের মুরুব্বীদের ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশে কিছু হাদিয়া প্রেরণ করবো তাদের মাজারে।

আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে আজকের প্রতিটি মুহুর্ত সে অনুযায়ী অতিবাহিত করার তাওফীক দান করুন
(আমীন)।

লেখক: শিক্ষার্থী,জামিয়াতু ইব্রাহিম,মাহমুদ নগর,ডেমরা,ঢাকা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিদায় দুঃখের ২০২০ সাল

Update Time : ০১:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

ইয়াহইয়া মোহাম্মদ জাবের হাসান:

অল্প কিছুক্ষণ পরই অতীতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ২০২০ সাল, আমার জীবন ক্যালেন্ডার থেকে মুছে
গেল আরো একটি বছর। আমাদের মুরুব্বিদেরকে হারানোর শোকে কাতর করে বিদায় নিল ২০২০
সাল।

তাদের মধে বিদায় নিলেন,“শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব (রহ:), তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী(রহ:) এবং মাওলানা যোবায়ের আনসারী (রহ:) হযরত মাওলানা মুফতী নূর হুসাইন কাসেমী সাহেব (রহ:), সহ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম।

এ সাল টি আমার এবং আমার পরিবারের মাঝে একটি শুকাবহ ইতিহাস রচনা করে গেল। বিদায় নিল
আমাদের পরিবারের নয়ণমনী উজানী মাদরাসায় যিনি ৪১ বছর যাবৎ খেদমতরত ছিলেন এবং বিলিয়ে
দিলেন জ্ঞানের আলো। সেই মহান মনীষী হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ সাহেব (রহ:) যিনি সম্পর্কে
আমার সম্মানিত ফুফাজী। আমার এ ক্ষুদধ জীবনে নববী আখলাক ও আদর্শ সম্পর্কে যতটুকু জ্ঞাত হয়েছি।
তার জীবনে সে ̧লোর বা ̄Íবরুপ দেখতে পেয়েছি। সব সময় সবার সাথে তিনি হাসিমুখে কথা বলতেন,
কারো সাথে রাগান্বিত হওয়া তো দূর। উচু স্বরেও কথা বলতেন না।

আমার শ্রদ্ধেয় বড় চাচাতো ভাই তিনি বলেন, “উজানী মাদ্রাসায় আমি অধ্যায়নকালে তার কামরায় থাকতাম, পাঁচ বৎসর আমার তার কামরায় অতিবাহিত হয়েছে, এই পুরো সময়ে মাত্র একটি বার তিনি আমার সাথে রাগ করেছিলেন, সেটা ছিল ক্ষনিকের জন। এতই নরম দ্বিলের অধিকারি ছিলেন তিনি। আজ ভোরে যখন আমি শয্যা ত্যাগ করি তখন থেকেই এই বিষয় ̧হৃদয়ের গভিরে ভেসে উঠলো।
ফজরের সালাত আদায়ের পর কিছুক্ষণ হেঁটে কামরায় ফিরলাম। সময় নিশ্চিত করতে ঘড়ির দিকে তাকানো মাত্রই সময়ের সাথে চোঁখের সামনে ডিজিটাল ঘড়িতে ভেসে আসল ৩১-১২-২০২০ ইং। বছরের এই বিদায় লগ্নতা দেখে পূর্বের সেই কষ্ট আরো প্রবল হল, নিজেকে ̄স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সামান্য সময়ের জন্য বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর একটু ভালো অনুভব করলাম। তারপর অযু সেরে ভাবলাম আজকের দিনটি আমার জীবন ডায়রীতে ̄স্বরণীয় হয়ে থাকুক, সাথে সাথে নিয়ত করলাম যে, বছরের শেষ মুহূর্তে আমাদের মুরুব্বীদের ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশে কিছু হাদিয়া প্রেরণ করবো তাদের মাজারে।

আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে আজকের প্রতিটি মুহুর্ত সে অনুযায়ী অতিবাহিত করার তাওফীক দান করুন
(আমীন)।

লেখক: শিক্ষার্থী,জামিয়াতু ইব্রাহিম,মাহমুদ নগর,ডেমরা,ঢাকা।