জানাজার পর দেওয়ানবাগীকে দেওয়া হবে ‘গার্ড অব অনার’

  • Update Time : ০৭:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 205

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দাফনের আগে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হবে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের প্রয়াত পীর সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগীকে।

মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক নিশ্চিত করেছেন, জানাজার পর দেওয়ানবাগী পীরকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, তার নামাজে জানাজা মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজা শেষে দেওয়ানবাগী পীরকে বাবে মদিনা দেওয়ানবাগ শরীফে তার স্ত্রীর পাশে সমাহিত করা হবে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানবাগী পীরের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ মেহেদী।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা ৪৮ মিনিটে ইন্তেকাল করেন দেওয়ানবাগী পীর। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

দেওয়ানবাগের পরিচালক ড. আরসাম কুদরত এ খোদা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে দেওয়ানবাগী পীর ৩ নম্বর প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ শেষে তিনি সেনাবাহিনীর ১৬ বেঙ্গল রেজিমেন্টে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি সর্বমোট ১১টি দরবার ও শতাধিক খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জানাজার পর দেওয়ানবাগীকে দেওয়া হবে ‘গার্ড অব অনার’

Update Time : ০৭:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দাফনের আগে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হবে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের প্রয়াত পীর সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগীকে।

মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক নিশ্চিত করেছেন, জানাজার পর দেওয়ানবাগী পীরকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, তার নামাজে জানাজা মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজা শেষে দেওয়ানবাগী পীরকে বাবে মদিনা দেওয়ানবাগ শরীফে তার স্ত্রীর পাশে সমাহিত করা হবে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানবাগী পীরের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ মেহেদী।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা ৪৮ মিনিটে ইন্তেকাল করেন দেওয়ানবাগী পীর। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

দেওয়ানবাগের পরিচালক ড. আরসাম কুদরত এ খোদা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে দেওয়ানবাগী পীর ৩ নম্বর প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ শেষে তিনি সেনাবাহিনীর ১৬ বেঙ্গল রেজিমেন্টে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি সর্বমোট ১১টি দরবার ও শতাধিক খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন।