ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক পোস্ট দেয়া ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সহিংসতার এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা গাড়িতে আগুন দেয় এবং কংগ্রেসের বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির বাড়ি ঘিরে রাখে।
পরে তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস এবং গুলি ছোড়ে পুলিশ। এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষে ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। সহিংসতার জেরে ১১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বেঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর এক ভিডিও বার্তায় সবাইকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন ওই বিধায়ক।
স্থানীয় একজন এমএলএ-র এক আত্মীয় ফেইসবুকে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছেন এমন অভিযোগে কয়েক হাজার লোক কাওয়ালি বায়রান্ড্র এলাকায় কংগ্রেসের ওই রাজনীতিকের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে কংগ্রেসের ওই এমএলএ জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসভারাজ বোমানিও এক বার্তায় বলেন, ‘অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা আইনবিরোধী। বিষয়টি যাই হোক না কেন, আইনের আওতার মধ্যেই তা সমাধান করতে হবে। আমি পুলিশকে শান্তি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কোনো ব্যক্তি যত বড়ই হোক না কেন, কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। যে বা যারা এ জন্য দায়ী তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। আমি আপনাদেরকে আশ্বাস দিচ্ছি যে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।’
কর্ণাটকের আমীর-এ-শরীয়া হযরত মাওলানা সাগীর আহমেদ মুসলিমদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন করে বলেন, পুলিশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যে ওই আপত্তিজনক কাজ করেছে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি জনগণকে আইন হাতে না নিতে আবেদন জানিয়েছেন।