করোনায় ফেসবুক দিচ্ছে অর্থ সহায়তা ও ঋণ

  • Update Time : ০৪:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
  • / 141
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। তারই ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ‌‘গ্রান্ট প্রোগ্রাম’ চালু করেছে জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানটি এক নিবন্ধে উল্লেখ করে, আমরা এরই মধ্যে জানতে পেরেছি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সামান্য সহায়তা পেলেই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। তাই আমরা একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছি। বিজ্ঞাপন দেয়া এবং নগদ অর্থ এই দুই ভাগে দেয়া হচ্ছে।

৩০টিরও বেশি দেশে ৩০ হাজার ব্যবসায়ের উপর এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ৩০ দেশের তালিকায় নেই এমন দেশ থেকেও সহায়তার আবেদন করা যাচ্ছে। তবে তালিকায় না থাকা দেশের ব্যবসায়ীর আবেদন বিবেচনা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত দিয়েছে ফেসবুক:

১. অন্তত ২ থেকে ৫০ জন কর্মী থাকতে হবে।

২. ব্যবসায়ের বয়স হতে হবে কমপক্ষে এক বছর।

৩. করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন প্রমাণ থাকতে হবে।

৪. আপনার ব্যবসায় সম্পর্কে ফেসবুক খোঁজ খবর রাখতে পারবে এমন যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ফেসবুকের এই অর্থ ব্যবহার করা যাবে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম আরও শক্তিশালি করার জন্য। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য দোকান ভাড়া প্রদান, ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগে খরচ করা যাবে।

এর আওতায় রয়েছে মার্কিন ও কানাডার গণমাধ্যম। এ দুই দেশের গণমাধ্যম চাইলে এই ঋণ সহায়তা নিতে পারবে। তবে একটি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত পাবে।  গণমাধ্যমের জন্য ঘোষিত অর্থের পরিমাণ এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘোষণা করা হয়েছে।

আবেদন এবং অর্থসহায়তা সংক্রান্ত কোনো তথ্যের জন্য ই-মেইল করা যাবে। আবেদনের জন্য ফেসবুকে বিজনেস পেজ ও একটি ভেরিফাইড ই-মেইল থাকতে হবে। থাকতে হবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কার্যালয়। শুধুমাত্র অনলাইনে কার্যক্রম থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

থাকতে হবে ব্যবসায়ের লাইসেন্স। অফিসিয়াল রেজিস্ট্রেশান। যদি অংশিদারি ব্যবসায় হয়ে থাকে তবে পার্টনারশিপ লাইসেন্স থাকতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


করোনায় ফেসবুক দিচ্ছে অর্থ সহায়তা ও ঋণ

Update Time : ০৪:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। তারই ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ‌‘গ্রান্ট প্রোগ্রাম’ চালু করেছে জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানটি এক নিবন্ধে উল্লেখ করে, আমরা এরই মধ্যে জানতে পেরেছি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সামান্য সহায়তা পেলেই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। তাই আমরা একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছি। বিজ্ঞাপন দেয়া এবং নগদ অর্থ এই দুই ভাগে দেয়া হচ্ছে।

৩০টিরও বেশি দেশে ৩০ হাজার ব্যবসায়ের উপর এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ৩০ দেশের তালিকায় নেই এমন দেশ থেকেও সহায়তার আবেদন করা যাচ্ছে। তবে তালিকায় না থাকা দেশের ব্যবসায়ীর আবেদন বিবেচনা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত দিয়েছে ফেসবুক:

১. অন্তত ২ থেকে ৫০ জন কর্মী থাকতে হবে।

২. ব্যবসায়ের বয়স হতে হবে কমপক্ষে এক বছর।

৩. করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন প্রমাণ থাকতে হবে।

৪. আপনার ব্যবসায় সম্পর্কে ফেসবুক খোঁজ খবর রাখতে পারবে এমন যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ফেসবুকের এই অর্থ ব্যবহার করা যাবে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম আরও শক্তিশালি করার জন্য। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য দোকান ভাড়া প্রদান, ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগে খরচ করা যাবে।

এর আওতায় রয়েছে মার্কিন ও কানাডার গণমাধ্যম। এ দুই দেশের গণমাধ্যম চাইলে এই ঋণ সহায়তা নিতে পারবে। তবে একটি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত পাবে।  গণমাধ্যমের জন্য ঘোষিত অর্থের পরিমাণ এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘোষণা করা হয়েছে।

আবেদন এবং অর্থসহায়তা সংক্রান্ত কোনো তথ্যের জন্য ই-মেইল করা যাবে। আবেদনের জন্য ফেসবুকে বিজনেস পেজ ও একটি ভেরিফাইড ই-মেইল থাকতে হবে। থাকতে হবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কার্যালয়। শুধুমাত্র অনলাইনে কার্যক্রম থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

থাকতে হবে ব্যবসায়ের লাইসেন্স। অফিসিয়াল রেজিস্ট্রেশান। যদি অংশিদারি ব্যবসায় হয়ে থাকে তবে পার্টনারশিপ লাইসেন্স থাকতে হবে।