তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ৷ শনিবার (৮ আগস্ট) সকালে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন যুব লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এরপর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এসময় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গমাতা মুজিব বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যতদিন কারাগারে ছিলেন তার অবর্তমানে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সব আন্দোলন সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে ছায়ার মত আগলে রেখেছিলেন তিনি।’
১৯৩০ সালের ৮ই আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা, যিনি পরিবারে পরিচিত ছিলেন রেণু নামে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে শেখ মুজিবের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। শুধু সহধর্মিনী হিসেবে নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম স্বামী শেখ মুজিবের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুর সপরিবার হত্যাযজ্ঞে তিনিও শহীদ হন।