সাড়ে ৪ কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু

  • Update Time : ১১:১৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • / 170
নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শেষ স্প্যানটি বসলো। বুধবার (১০ জুন) ৩১তম এ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর মাঝনদীর সাথে সংযোগ ঘটলো জাজিরার। ফলে জাজিরা থেকে মাঝনদী পর্যন্ত এক সাথে দৃশ্যমান এখন টানা ২৯টি স্প্যান। সব মিলে সেতু দৃশ্যমান ৪ হাজার ৬৫০ মিটার।  এরপর থেকে বাকি সব স্প্যান বসবে মাওয়া প্রান্তে।

অনেক দূর থেকে তাকালে মনে হয় সরু চুলের মতো একটা  লম্বা একটা রেখা নদীর উপর এপাশ থেকে ওপাশ চলে গেছে। মধ্যখানে শুধু একটা স্প্যানের বিরতি।

জাজিরা পাড়ে টানা বসানো আছে ১৬টি স্প্যান, মাঝের একটির বিরতির পর মাঝনদীতে আবারও টানা বসানো আছে ১২টি। এবার মাঝেরটি বসানোর পালা।

বুধবার সকাল ৯ টায় মাওয়ার ইয়ার্ড থেকে স্প্যান নিয়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে রওয়ানা দেয় ক্রেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় নদীর তীব্র স্রোত। মূল নদীতে স্রোতের বাধা পেরুনোর পর আবারও ক্রেন আটকে যায় নদীর তলদেশের পলির কারণে। ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আবারও শুরু হয় কাজ। দুপুর ১ টা নাগাদ স্প্যান নিয়ে আসা যায় নির্ধারিত পিলারের কাছে। শুরু হয় বসানোর তৎপরতা।

সাম্প্রতিক সময়ে অন্য স্প্যানগুলো বসাতে দুই দিন করে সময় নেয়া হলেও দিনে দিনেই বসিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় ৩১তম স্প্যানটি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইয়ার্ড থেকে নিয়ে এসে পিলারের উপর তুলতে সব মিলে সময় লাগে ৭ ঘন্টার বেশি।

এ স্প্যানটির ফলে এখন জাজিরার শেষ পিলারটি থেকে শুরু করে মাওয়ার দিকে টানা ২৯টি স্প্যান দৃশ্যমান করা হলো। মাওয়া প্রান্তে বসানো আছে মাত্র দুটি। সেতুর ৪১টির মধ্যে যে ১০টি স্প্যান বাকি আছে, তার সবগুলোই এরপর বসানো হবে মাওয়া প্রান্তে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সাড়ে ৪ কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু

Update Time : ১১:১৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শেষ স্প্যানটি বসলো। বুধবার (১০ জুন) ৩১তম এ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর মাঝনদীর সাথে সংযোগ ঘটলো জাজিরার। ফলে জাজিরা থেকে মাঝনদী পর্যন্ত এক সাথে দৃশ্যমান এখন টানা ২৯টি স্প্যান। সব মিলে সেতু দৃশ্যমান ৪ হাজার ৬৫০ মিটার।  এরপর থেকে বাকি সব স্প্যান বসবে মাওয়া প্রান্তে।

অনেক দূর থেকে তাকালে মনে হয় সরু চুলের মতো একটা  লম্বা একটা রেখা নদীর উপর এপাশ থেকে ওপাশ চলে গেছে। মধ্যখানে শুধু একটা স্প্যানের বিরতি।

জাজিরা পাড়ে টানা বসানো আছে ১৬টি স্প্যান, মাঝের একটির বিরতির পর মাঝনদীতে আবারও টানা বসানো আছে ১২টি। এবার মাঝেরটি বসানোর পালা।

বুধবার সকাল ৯ টায় মাওয়ার ইয়ার্ড থেকে স্প্যান নিয়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে রওয়ানা দেয় ক্রেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় নদীর তীব্র স্রোত। মূল নদীতে স্রোতের বাধা পেরুনোর পর আবারও ক্রেন আটকে যায় নদীর তলদেশের পলির কারণে। ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আবারও শুরু হয় কাজ। দুপুর ১ টা নাগাদ স্প্যান নিয়ে আসা যায় নির্ধারিত পিলারের কাছে। শুরু হয় বসানোর তৎপরতা।

সাম্প্রতিক সময়ে অন্য স্প্যানগুলো বসাতে দুই দিন করে সময় নেয়া হলেও দিনে দিনেই বসিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় ৩১তম স্প্যানটি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইয়ার্ড থেকে নিয়ে এসে পিলারের উপর তুলতে সব মিলে সময় লাগে ৭ ঘন্টার বেশি।

এ স্প্যানটির ফলে এখন জাজিরার শেষ পিলারটি থেকে শুরু করে মাওয়ার দিকে টানা ২৯টি স্প্যান দৃশ্যমান করা হলো। মাওয়া প্রান্তে বসানো আছে মাত্র দুটি। সেতুর ৪১টির মধ্যে যে ১০টি স্প্যান বাকি আছে, তার সবগুলোই এরপর বসানো হবে মাওয়া প্রান্তে।