ঢাবিতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে বয়কটের ডাক

  • Update Time : ১১:০০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 17

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে, পত্রিকা ‍দুটি বয়কটের ডাক দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ফটকে পত্রিকা দুটি পোড়াতে দেখা যায়। এ সময় তারা প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে এই দুটি পত্রিকা পোড়ানোর ভিডিও চিত্র সোস্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেকে  ব্যক্তি উদ্যোগে বয়কটের ডাক দিয়ে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে পত্রিকা দুটির বিপক্ষে লিখেছেন।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পত্রিকা দুটি এদেশে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্রের গোয়েন্দাসংস্থার হীন উদ্দেশ্যেকে অত্যন্ত নগ্নভাবে সমর্থন দান করে চলেছে।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানেও তারা গণহত্যার সাফাই গেয়েছে কতগুলো সংবাদ কলামে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে উপেক্ষা করে ফ্রন্ট পেইজ ভর্তি ভারতীয় মোটরবাইক ‘রয়েল এনফিল্ড’ এর বিজ্ঞাপন দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু ইস্যুতে তারা উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু ইস্যুতে তারা উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে। ফলে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও স্যোশাল মিডিয়ায় পত্রিকা দুটির যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু জনমতের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রেখে তারা তাদের নীতিগত কোনোরূপ পরিবর্তন সাধন করেনি। তারা প্রতিনিয়তই পতিত ফ্যাসিবাদ এবং বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে।

সম্প্রতি প্রথম আলো নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

সেই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, এ প্রতিবেদন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা তাদের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে পূর্বে অবগত ছিল। গতকাল রাতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক দল শিক্ষার্থী তাদের হীন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ স্বরূপ হলের পত্রিকা রুম থেকে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার বর্জনের সিন্ধান্ত নেয় এবং জ্বালিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে বয়কটের ডাক

Update Time : ১১:০০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে, পত্রিকা ‍দুটি বয়কটের ডাক দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ফটকে পত্রিকা দুটি পোড়াতে দেখা যায়। এ সময় তারা প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে এই দুটি পত্রিকা পোড়ানোর ভিডিও চিত্র সোস্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেকে  ব্যক্তি উদ্যোগে বয়কটের ডাক দিয়ে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে পত্রিকা দুটির বিপক্ষে লিখেছেন।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পত্রিকা দুটি এদেশে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্রের গোয়েন্দাসংস্থার হীন উদ্দেশ্যেকে অত্যন্ত নগ্নভাবে সমর্থন দান করে চলেছে।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানেও তারা গণহত্যার সাফাই গেয়েছে কতগুলো সংবাদ কলামে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে উপেক্ষা করে ফ্রন্ট পেইজ ভর্তি ভারতীয় মোটরবাইক ‘রয়েল এনফিল্ড’ এর বিজ্ঞাপন দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু ইস্যুতে তারা উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু ইস্যুতে তারা উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে। ফলে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও স্যোশাল মিডিয়ায় পত্রিকা দুটির যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু জনমতের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রেখে তারা তাদের নীতিগত কোনোরূপ পরিবর্তন সাধন করেনি। তারা প্রতিনিয়তই পতিত ফ্যাসিবাদ এবং বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে।

সম্প্রতি প্রথম আলো নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

সেই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, এ প্রতিবেদন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা তাদের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে পূর্বে অবগত ছিল। গতকাল রাতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক দল শিক্ষার্থী তাদের হীন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ স্বরূপ হলের পত্রিকা রুম থেকে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার বর্জনের সিন্ধান্ত নেয় এবং জ্বালিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটায়।