মতলবে ড. সামছুল হক মডেল কলেজে শতভাগ ফেল

  • Update Time : ০৯:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 10

মতলব প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ ফেল। প্রতিষ্ঠানটির নাম হচ্ছে ড. এম শামসুল হক মডেল কলেজ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গাউসুল আজম পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৫ অক্টোবর(মঙ্গলবার) প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় ড.শামছুল হক মডেল কলেজের মানবিক শাখার ৮ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ২জনসহ ১০ জন অংশ নিয়ে কেউ পাশ করতে পারেনি। কলেজটি ২০০৩ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই খারাপ ফলাফল করে আসছে। তবে এবছর শতভাগ ফেল। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা যায়।

অভিভাবকদের অভিযোগ ক্লাস না করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করেছেন শিক্ষকরা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে দুজন অভিভাবক বলেন, নামে মাত্র এটি একটি কলেজ, শিক্ষা এবং শিক্ষার কোন পরিবেশ এখানে নেই।অযোগ্য শিক্ষক দ্বারা পাঠ দান করানো হয়।

ভর্তির সময় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করেন। পরে ক্লাস নেওয়ার কোনো খবর নেই। পাঠদান না থাকলে শিক্ষার্থীরা পাস করবে কেমনে। এমন নাম মাত্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান অভিভাবকরা। ফলাফলের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবীও তাদের। যাতে আগামী দিনে এমন হতাশাজনক ফলাফল দেখতে না হয়।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারী মোবাইলে ফোন করা তিনি কল রিসিভ করে ব্যস্ততা দেখিয়ে লাইনটি কেটে দেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মতলবে ড. সামছুল হক মডেল কলেজে শতভাগ ফেল

Update Time : ০৯:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

মতলব প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ ফেল। প্রতিষ্ঠানটির নাম হচ্ছে ড. এম শামসুল হক মডেল কলেজ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গাউসুল আজম পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৫ অক্টোবর(মঙ্গলবার) প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় ড.শামছুল হক মডেল কলেজের মানবিক শাখার ৮ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ২জনসহ ১০ জন অংশ নিয়ে কেউ পাশ করতে পারেনি। কলেজটি ২০০৩ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই খারাপ ফলাফল করে আসছে। তবে এবছর শতভাগ ফেল। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা যায়।

অভিভাবকদের অভিযোগ ক্লাস না করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করেছেন শিক্ষকরা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে দুজন অভিভাবক বলেন, নামে মাত্র এটি একটি কলেজ, শিক্ষা এবং শিক্ষার কোন পরিবেশ এখানে নেই।অযোগ্য শিক্ষক দ্বারা পাঠ দান করানো হয়।

ভর্তির সময় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করেন। পরে ক্লাস নেওয়ার কোনো খবর নেই। পাঠদান না থাকলে শিক্ষার্থীরা পাস করবে কেমনে। এমন নাম মাত্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান অভিভাবকরা। ফলাফলের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবীও তাদের। যাতে আগামী দিনে এমন হতাশাজনক ফলাফল দেখতে না হয়।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারী মোবাইলে ফোন করা তিনি কল রিসিভ করে ব্যস্ততা দেখিয়ে লাইনটি কেটে দেন।