ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে তদন্ত করবে বিএসইসি

  • Update Time : ১২:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 13

পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের তদন্তের বিষয়ে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে বিএসইসি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আমদাদুল হক, উপ-পরিচালক রফিকুন্নবী, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ২১ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে এবং কমিশনের নির্দেশে তদন্ত কমিটি মোট ৯টি বিষয় পর্যালোচনা করবেন। চিঠিতে বিষয়গুলো উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিএসইসির তদন্ত কমিটি ‘অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড অব বাংলাদেশ’-এ শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকল বিনিয়োগ কার্যক্রম পর্যালোচনা করবেন। এসব বিনিয়োগ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে বিধিমালা, ২০১৫ এর বিনিয়োগের প্যারামিটার এবং গঠনমূলক নথিগুলির সাথে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ তা তদন্ত করবেন তারা। এছাড়া ফান্ডের সব বিনিয়োগের বৈধ প্রমাণ সংগ্রহ এবং পরীক্ষা; ফান্ড ম্যানেজার ও ট্রাস্টির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিনিয়োগের বিপরীতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) খতিয়ে দেখা; ফান্ডের ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ; ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা মেয়াদি আমানত এবং অন্যান্য অর্থ থেকে প্রাপ্ত সুদ বা লাভের বৈধ প্রমাণ সংগ্রহ করবেন তারা।

পাশাপাশি তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ এবং অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের বিনিয়োগ থেকে ফান্ডের লভ্যাংশ বা মূলধন লাভের বৈধ প্রমাণ সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ; বিএসইসি বার্ষিক ফি, ম্যানেজমেন্ট ফি, ট্রাস্টি ফিসহ ফান্ডের অপারেটিং খরচ বিশ্লেষণ এবং রিপোর্ট তৈরি; ফান্ড ম্যানেজার এবং অন্যান্য পক্ষের সুবিধার জন্য ফান্ডের ব্যাংক হিসাব থেকে অবৈধ লেনদেনের প্রমাণ সংগ্রহ; ফান্ড পরিচালনায় ম্যানেজার ও ট্রাস্টির ভূমিকা বিশ্লেষণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য বিষয় অনুসন্ধান করবেন বিএসইসির তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কর্মকর্তাদের এই আদেশ জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে তদন্ত করবে বিএসইসি

Update Time : ১২:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের তদন্তের বিষয়ে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে বিএসইসি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আমদাদুল হক, উপ-পরিচালক রফিকুন্নবী, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ২১ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে এবং কমিশনের নির্দেশে তদন্ত কমিটি মোট ৯টি বিষয় পর্যালোচনা করবেন। চিঠিতে বিষয়গুলো উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিএসইসির তদন্ত কমিটি ‘অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড অব বাংলাদেশ’-এ শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকল বিনিয়োগ কার্যক্রম পর্যালোচনা করবেন। এসব বিনিয়োগ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে বিধিমালা, ২০১৫ এর বিনিয়োগের প্যারামিটার এবং গঠনমূলক নথিগুলির সাথে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ তা তদন্ত করবেন তারা। এছাড়া ফান্ডের সব বিনিয়োগের বৈধ প্রমাণ সংগ্রহ এবং পরীক্ষা; ফান্ড ম্যানেজার ও ট্রাস্টির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিনিয়োগের বিপরীতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) খতিয়ে দেখা; ফান্ডের ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ; ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা মেয়াদি আমানত এবং অন্যান্য অর্থ থেকে প্রাপ্ত সুদ বা লাভের বৈধ প্রমাণ সংগ্রহ করবেন তারা।

পাশাপাশি তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ এবং অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের বিনিয়োগ থেকে ফান্ডের লভ্যাংশ বা মূলধন লাভের বৈধ প্রমাণ সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ; বিএসইসি বার্ষিক ফি, ম্যানেজমেন্ট ফি, ট্রাস্টি ফিসহ ফান্ডের অপারেটিং খরচ বিশ্লেষণ এবং রিপোর্ট তৈরি; ফান্ড ম্যানেজার এবং অন্যান্য পক্ষের সুবিধার জন্য ফান্ডের ব্যাংক হিসাব থেকে অবৈধ লেনদেনের প্রমাণ সংগ্রহ; ফান্ড পরিচালনায় ম্যানেজার ও ট্রাস্টির ভূমিকা বিশ্লেষণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য বিষয় অনুসন্ধান করবেন বিএসইসির তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কর্মকর্তাদের এই আদেশ জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।