বেনাপোল বন্দরে অ্যালকোহলযুক্ত শত কোটি টাকার হোমিও মেডিসিন জব্দ

  • Update Time : ০৫:১৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 19

মো.সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-

বেনাপোল স্থলবন্দরে মিথ্যা ঘোষনায় আমদানী করা ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত শত কোটি টাকার হোমিও মেডিসিন জব্দ করেছে বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা । গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চালানটি জব্দ করা হয়।

আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম গত ২৮ জুলাই ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২২ হাজার ২৭৯ কেজি ওজনের এ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন আমদানি করে। চালানটি বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৪ নং শেডে রক্ষিত রয়েছে।

হোমিও মেডিসিন এর বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য শত কোটি টাকা ছাড়াবে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। আমদানিকারক চালানটির এলসি মূল্য ৭৫ হাজার ৩১২ মার্কিন ডলার বা ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার ৮১৬ টাকা দেখিয়েছেন। এটি খালাসে সিএন্ডএফ এজেন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ এন্ড সন্স কাজ করে। পণ্য চালানটি এইচএস কোড ৩০০৪৯০২০ অনুযায়ী ১০% শুল্কহারে রাজস্বের জন্য ৯ লাখ ৯ হাজার ৭৬৩ টাকায় বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উক্ত পণ্যের এইচএস কোড হবে ৩০০৪৯০১০ এবং ৫৮.৬০% হারে রাজস্ব নির্ধারিত হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। 

ওষুধগুলোর একেকটির দাম একেক রকম।

ঘোষণাবহির্ভূত এবং অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত ও চারটি আইটেমের বিপরীতে ৩৮২ আইটেমের বিভিন্ন নামের ওষুধ আমদানি করেছে বলে বেনাপোল স্থলবন্দরের এনএসআই কর্মকর্তা সেখানকার শুল্ক গোয়েন্দার উপপরিচালক সাইফুজ্জামানকে জানান। এরপর চালানটি পরীক্ষা করে এনএসআইয়ের গোপন তথ্যের সঠিকতা পাওয়ায় পণ্য চালানটি আটক করে খালাস স্থগিত করে দেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাইফুজ্জামান।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, আমদানিকৃত কোনো পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা আটক করতেই হবে। আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড হোমিও মেডিসিন নামে ঘোষণা দিয়ে এ পণ্য চালান আমদানি করে। পণ্যটি বেনাপোল বন্দরে আসার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)’র দেয়া তথ্যে শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা পরীক্ষা করে আমদানি নিষিদ্ধ অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহল পেয়েছেন। যে কারণে চালানটি আটক করা হয়েছে। বর্তমান বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বেনাপোল বন্দরে অ্যালকোহলযুক্ত শত কোটি টাকার হোমিও মেডিসিন জব্দ

Update Time : ০৫:১৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মো.সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-

বেনাপোল স্থলবন্দরে মিথ্যা ঘোষনায় আমদানী করা ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত শত কোটি টাকার হোমিও মেডিসিন জব্দ করেছে বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা । গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চালানটি জব্দ করা হয়।

আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম গত ২৮ জুলাই ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২২ হাজার ২৭৯ কেজি ওজনের এ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন আমদানি করে। চালানটি বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৪ নং শেডে রক্ষিত রয়েছে।

হোমিও মেডিসিন এর বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য শত কোটি টাকা ছাড়াবে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। আমদানিকারক চালানটির এলসি মূল্য ৭৫ হাজার ৩১২ মার্কিন ডলার বা ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার ৮১৬ টাকা দেখিয়েছেন। এটি খালাসে সিএন্ডএফ এজেন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ এন্ড সন্স কাজ করে। পণ্য চালানটি এইচএস কোড ৩০০৪৯০২০ অনুযায়ী ১০% শুল্কহারে রাজস্বের জন্য ৯ লাখ ৯ হাজার ৭৬৩ টাকায় বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উক্ত পণ্যের এইচএস কোড হবে ৩০০৪৯০১০ এবং ৫৮.৬০% হারে রাজস্ব নির্ধারিত হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। 

ওষুধগুলোর একেকটির দাম একেক রকম।

ঘোষণাবহির্ভূত এবং অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত ও চারটি আইটেমের বিপরীতে ৩৮২ আইটেমের বিভিন্ন নামের ওষুধ আমদানি করেছে বলে বেনাপোল স্থলবন্দরের এনএসআই কর্মকর্তা সেখানকার শুল্ক গোয়েন্দার উপপরিচালক সাইফুজ্জামানকে জানান। এরপর চালানটি পরীক্ষা করে এনএসআইয়ের গোপন তথ্যের সঠিকতা পাওয়ায় পণ্য চালানটি আটক করে খালাস স্থগিত করে দেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাইফুজ্জামান।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, আমদানিকৃত কোনো পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা আটক করতেই হবে। আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড হোমিও মেডিসিন নামে ঘোষণা দিয়ে এ পণ্য চালান আমদানি করে। পণ্যটি বেনাপোল বন্দরে আসার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)’র দেয়া তথ্যে শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা পরীক্ষা করে আমদানি নিষিদ্ধ অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহল পেয়েছেন। যে কারণে চালানটি আটক করা হয়েছে। বর্তমান বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।