ঠাকুরগাঁওয়ে ২০ বসতঘর পুড়ে ছাই; ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ২০ লাখ

  • Update Time : ০৭:৩৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 16

 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খামার সিনুয়া গ্রামে ৯ টি পরিবারের ২০টি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে গেছে খেটে খাওয়া ৯টি পরিবার। সব হারিয়ে মাথা গুঁজানোর ঠাঁই পর্যন্ত নেই তাদের। দেখা দিয়েছে খাদ্যের অভাব। রোববার (৮ আগস্ট) গভীর রাতে ওই গ্রামে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৯টি পরিবারের ২০ টি ঘরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ধান, চাল, নগদ টাকা-পয়সাসহ অন্যান্য মালামাল সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তারা আরো জানান এটি বাড়ির সৃষ্ট কোন আগুন নয়, কে বা করা আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন,  সেনুয়া গ্রামের ফারাজুল, ফারুক, রসুল বক্স, আইয়ুব আলী, শাহাদত আলী, শাহিদ আলী, নজরুল ইসলাম, আনিসুর রহমান ও মাসুদ রানা, সোহেল রানা। ক্ষতিগ্রস্ত আনিসুর রহমান বলেন, সারাদিন মাঠে কাজ করে রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম মাঝ রাতে হঠাৎ দেখতে পায় ঘরের উপরে আগুন জ্বলছে, পাশের ঘরেরও আগুন। এবং বিদ্যুতের সাথে  আগুনের সংযোগ হয়ে নিমিষেই আগুন  চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, শুধুমাত্র কোনমতো গরুগুলো সরিয়েছি। বাকী ছাগল, মুরগী  ধান, চাল, কাপড়, টাকাপয়সাসহ প্রয়োজনীয় কোন কিছুই বাড়ি থেকে বের করতে পারিনি, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি এখন দিশেহারা, কি করে চলবো কোন কিছুই ভাবতে পারছিনা। আরেক ভুক্তভোগী ময়না বেগম জানান আমি ঘুমিয়ে ছিলাম হঠাৎ বুঝতে পারি বড়িতে আগুন লেগেছে, দেখতেছি চারিদিকে আগুন। তাড়াহুড়া করে দুইটি গরু বাহির করেছি, বাকী দুটি গুরু, ছাগল, মুরগী কোন কিছুই বাহির করতে পরিনি। আমার পড়নের শাড়িটা ছাড়া সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। জানা গেছে অগ্নিকাণ্ডের সময় এক মহিলা তার শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের হাত পুড়িয়ে ফেলেছে, আরেক মহিলা একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে তার শরীরের বেশকিছু অংশ পুড়ে গেছে। ভুক্তভোগী ওই ৯ পরিবারের অসহায় সদস্যরা সরকারি সহায়তা ও বিত্তবানের এগিয়ে আসার আহবান জানান। ভোমরাহদহ ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান হিটলার হক আগুনে বসতঘর পুড়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ থেকে সাময়িক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল এনাম ডন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের কাজ চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঠাকুরগাঁওয়ে ২০ বসতঘর পুড়ে ছাই; ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ২০ লাখ

Update Time : ০৭:৩৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খামার সিনুয়া গ্রামে ৯ টি পরিবারের ২০টি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে গেছে খেটে খাওয়া ৯টি পরিবার। সব হারিয়ে মাথা গুঁজানোর ঠাঁই পর্যন্ত নেই তাদের। দেখা দিয়েছে খাদ্যের অভাব। রোববার (৮ আগস্ট) গভীর রাতে ওই গ্রামে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৯টি পরিবারের ২০ টি ঘরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ধান, চাল, নগদ টাকা-পয়সাসহ অন্যান্য মালামাল সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তারা আরো জানান এটি বাড়ির সৃষ্ট কোন আগুন নয়, কে বা করা আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন,  সেনুয়া গ্রামের ফারাজুল, ফারুক, রসুল বক্স, আইয়ুব আলী, শাহাদত আলী, শাহিদ আলী, নজরুল ইসলাম, আনিসুর রহমান ও মাসুদ রানা, সোহেল রানা। ক্ষতিগ্রস্ত আনিসুর রহমান বলেন, সারাদিন মাঠে কাজ করে রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম মাঝ রাতে হঠাৎ দেখতে পায় ঘরের উপরে আগুন জ্বলছে, পাশের ঘরেরও আগুন। এবং বিদ্যুতের সাথে  আগুনের সংযোগ হয়ে নিমিষেই আগুন  চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, শুধুমাত্র কোনমতো গরুগুলো সরিয়েছি। বাকী ছাগল, মুরগী  ধান, চাল, কাপড়, টাকাপয়সাসহ প্রয়োজনীয় কোন কিছুই বাড়ি থেকে বের করতে পারিনি, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি এখন দিশেহারা, কি করে চলবো কোন কিছুই ভাবতে পারছিনা। আরেক ভুক্তভোগী ময়না বেগম জানান আমি ঘুমিয়ে ছিলাম হঠাৎ বুঝতে পারি বড়িতে আগুন লেগেছে, দেখতেছি চারিদিকে আগুন। তাড়াহুড়া করে দুইটি গরু বাহির করেছি, বাকী দুটি গুরু, ছাগল, মুরগী কোন কিছুই বাহির করতে পরিনি। আমার পড়নের শাড়িটা ছাড়া সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। জানা গেছে অগ্নিকাণ্ডের সময় এক মহিলা তার শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের হাত পুড়িয়ে ফেলেছে, আরেক মহিলা একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে তার শরীরের বেশকিছু অংশ পুড়ে গেছে। ভুক্তভোগী ওই ৯ পরিবারের অসহায় সদস্যরা সরকারি সহায়তা ও বিত্তবানের এগিয়ে আসার আহবান জানান। ভোমরাহদহ ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান হিটলার হক আগুনে বসতঘর পুড়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ থেকে সাময়িক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল এনাম ডন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের কাজ চলছে।