১৮ কোম্পানির আইপিও’র অর্থ এখনও ব্যবহৃত

  • Update Time : ১২:৫৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 22

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮টি কোম্পানির সংগ্রহ করা ৮৬৩ কোটি টাকা এখনও ব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। ২০১১ থেকে জুন ২০২৪ সাল অর্থাৎ ১৩ বছরের মধ্যে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুঁজিবাজার থেকে নতুন শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করেছিল।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিডি থাই ফুডস, ইনডেক্স এগ্রো, জেএমআই হসপিটাল, লুব-রেফ বাংলাদেশ, বেস্ট হোল্ডিংস, ডমিনেজ স্টিল, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, একমি পেস্টিসাইডস, সিলভা ফার্মা, তৌফিকা ফুডস, আমান কটন, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, নাভান ফার্মাসিউটিক্যালস, রিং শাইন টেক্সটাইল, সিকদার ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।

তথ্য মতে, গত ১৩ বছরে আইপিও এবং আরপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৩২টি কোম্পানি মোট ১০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এই কোম্পানিগুলির মধ্যে ১১৪টি তাদের প্রসপেক্টাসে বর্ণিত উদ্দেশ্যে ৯ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করেছে। বাকি ১৮টি কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের প্রসপেক্টাসে বর্ণিত খাতে অর্থ ব্যবহার করতে পারেনি। ফলে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি।

যে ১৮টি কোম্পানি তাদের আইপিও তহবিল পুরোপুরি ব্যবহার করেনি তাদের বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছ থেকে আরও সময় নিয়েছে। কিন্তু গত দুই বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানির কাছে তাদের তহবিল তাদের প্রসপেক্টাস অনুযায়ী ব্যবহারের জন্য এখনও সময় আছে।

এদিকে, স্টক এক্সচেঞ্জের একটি প্রতিবেদনে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি তাদের প্রকল্পে বরাদ্দকৃত আইপিও তহবিল ব্যবহারের সময়সীমা অতিক্রম করেছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। তবে কোম্পানিগুলোর মালিকানায় থাকা দুষ্টুচক্র এই অর্থ নিজ স্বার্থে ব্যবহার করছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


১৮ কোম্পানির আইপিও’র অর্থ এখনও ব্যবহৃত

Update Time : ১২:৫৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮টি কোম্পানির সংগ্রহ করা ৮৬৩ কোটি টাকা এখনও ব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। ২০১১ থেকে জুন ২০২৪ সাল অর্থাৎ ১৩ বছরের মধ্যে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুঁজিবাজার থেকে নতুন শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করেছিল।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিডি থাই ফুডস, ইনডেক্স এগ্রো, জেএমআই হসপিটাল, লুব-রেফ বাংলাদেশ, বেস্ট হোল্ডিংস, ডমিনেজ স্টিল, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, একমি পেস্টিসাইডস, সিলভা ফার্মা, তৌফিকা ফুডস, আমান কটন, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, নাভান ফার্মাসিউটিক্যালস, রিং শাইন টেক্সটাইল, সিকদার ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।

তথ্য মতে, গত ১৩ বছরে আইপিও এবং আরপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৩২টি কোম্পানি মোট ১০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এই কোম্পানিগুলির মধ্যে ১১৪টি তাদের প্রসপেক্টাসে বর্ণিত উদ্দেশ্যে ৯ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করেছে। বাকি ১৮টি কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের প্রসপেক্টাসে বর্ণিত খাতে অর্থ ব্যবহার করতে পারেনি। ফলে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি।

যে ১৮টি কোম্পানি তাদের আইপিও তহবিল পুরোপুরি ব্যবহার করেনি তাদের বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছ থেকে আরও সময় নিয়েছে। কিন্তু গত দুই বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানির কাছে তাদের তহবিল তাদের প্রসপেক্টাস অনুযায়ী ব্যবহারের জন্য এখনও সময় আছে।

এদিকে, স্টক এক্সচেঞ্জের একটি প্রতিবেদনে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি তাদের প্রকল্পে বরাদ্দকৃত আইপিও তহবিল ব্যবহারের সময়সীমা অতিক্রম করেছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। তবে কোম্পানিগুলোর মালিকানায় থাকা দুষ্টুচক্র এই অর্থ নিজ স্বার্থে ব্যবহার করছেন।