ফারইস্ট লাইফ থেকে পদত্যাগ করলেন শিবলীর নিয়োগ দেওয়া পর্ষদ সদস্যরা

  • Update Time : ১২:০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • / 27

 

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ কবির হোসেন, মোজাম্মেল হকসহ পাঁচজন। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিএসইসি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় বিমা কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে এসব পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সম্প্রতি শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নানান সমালোচনার জন্ম দেওয়া অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার পদত্যাগের পর তার নিয়োগ দেওয়া ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক পদত্যাগের খবর আসলো।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ থেকে প্রথমে পদত্যাগ করেন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা শেখ কবির হোসেন। গত ১৪ আগস্ট স্বাস্থ্যগত এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিএসইসি এবং বিমা কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

এরপর পদত্যাগ করেন আরেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোজাম্মেল হক। বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তিনি ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন।

পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট ও রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. লাফিফা জামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ অপসারণ করে নতুন ১০ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করে বিএসইসি। বিনিয়োগকারী, পলিসিহোল্ডার এবং সামগ্রিক শেয়ারবাজারের সুরক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সে সময় বিএসইসি থেকে জানানো হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বিএসইসি।

একসময় বেশ সুনামের সঙ্গে বিমা ব্যবসা করতো ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কিন্তু সাবেক পরিচালক এম এ খালেক এবং সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ব্যাপক লুটপাটের কারণে এই জীবন বিমা কোম্পানিটি এখন মৃতপ্রায়। অর্থ সংকটে কোম্পানিটি শত শত গ্রাহকের বিমা দাবির টাকা পরিশোধ করতে পারছে না।

শিবলী কমিশনের নেতৃত্বাধীন কমিশন ফারইস্ট লাইফের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করলেও কোম্পানিটির অবস্থার উন্নতি হয়নি। বরং দিন যত গিয়েছে কোম্পানিটির আর্থিক চিত্র তত রুগ্ণ হয়েছে। কোম্পানিটির গ্রাহকরা দাবির টাকা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতি পুনর্গঠিত পর্ষদের সদস্যরা পদত্যাগ করলেন।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফে ব্যাপক লুটপাট চালানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এবং সাবেক পরিচালক এম এ খালেক কারাগারে রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media


ফারইস্ট লাইফ থেকে পদত্যাগ করলেন শিবলীর নিয়োগ দেওয়া পর্ষদ সদস্যরা

Update Time : ১২:০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

 

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ কবির হোসেন, মোজাম্মেল হকসহ পাঁচজন। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিএসইসি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় বিমা কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে এসব পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সম্প্রতি শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নানান সমালোচনার জন্ম দেওয়া অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার পদত্যাগের পর তার নিয়োগ দেওয়া ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক পদত্যাগের খবর আসলো।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ থেকে প্রথমে পদত্যাগ করেন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা শেখ কবির হোসেন। গত ১৪ আগস্ট স্বাস্থ্যগত এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিএসইসি এবং বিমা কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

এরপর পদত্যাগ করেন আরেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোজাম্মেল হক। বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তিনি ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন।

পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট ও রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. লাফিফা জামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ অপসারণ করে নতুন ১০ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করে বিএসইসি। বিনিয়োগকারী, পলিসিহোল্ডার এবং সামগ্রিক শেয়ারবাজারের সুরক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সে সময় বিএসইসি থেকে জানানো হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বিএসইসি।

একসময় বেশ সুনামের সঙ্গে বিমা ব্যবসা করতো ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কিন্তু সাবেক পরিচালক এম এ খালেক এবং সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ব্যাপক লুটপাটের কারণে এই জীবন বিমা কোম্পানিটি এখন মৃতপ্রায়। অর্থ সংকটে কোম্পানিটি শত শত গ্রাহকের বিমা দাবির টাকা পরিশোধ করতে পারছে না।

শিবলী কমিশনের নেতৃত্বাধীন কমিশন ফারইস্ট লাইফের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করলেও কোম্পানিটির অবস্থার উন্নতি হয়নি। বরং দিন যত গিয়েছে কোম্পানিটির আর্থিক চিত্র তত রুগ্ণ হয়েছে। কোম্পানিটির গ্রাহকরা দাবির টাকা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতি পুনর্গঠিত পর্ষদের সদস্যরা পদত্যাগ করলেন।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফে ব্যাপক লুটপাট চালানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এবং সাবেক পরিচালক এম এ খালেক কারাগারে রয়েছেন।