আবু সাঈদ হত্যার জেরে বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের দুই কর্মকর্তা

  • Update Time : ০৫:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / 26

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই সময় দায়িত্বে থাকা রংপুরের দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেয়া হয়েছে।

তারা হলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো.মনিরুজ্জামান এবং রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক মো. আবদুল বাতেন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ এর সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রজ্ঞাপন দুটিতে স্বাক্ষর করেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে অবসরে পাঠানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্য ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)- এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

আর রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেনকেও ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)- এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই দুপুরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২২ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মামলায় প্রথমে ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে নানামুখী চাপে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও পুলিশ কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আবু সাঈদ হত্যার জেরে বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের দুই কর্মকর্তা

Update Time : ০৫:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই সময় দায়িত্বে থাকা রংপুরের দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেয়া হয়েছে।

তারা হলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো.মনিরুজ্জামান এবং রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক মো. আবদুল বাতেন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ এর সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রজ্ঞাপন দুটিতে স্বাক্ষর করেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে অবসরে পাঠানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্য ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)- এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

আর রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেনকেও ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)- এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই দুপুরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২২ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মামলায় প্রথমে ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে নানামুখী চাপে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও পুলিশ কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।