সমুদ্র সৈকতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে পর্যটকদের ভিড়

  • Update Time : ০৮:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • / 54

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। কক্সবাজার থেকে এখনো ৪৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়ে রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
তবে উত্তাল ঢেউয়ের মাঝেও সমুদ্র দেখতে ভিড় জমিয়েছেন স্থায়ীয় দর্শনার্থী ও শত শত দেশ বিদেশের পর্যটক’রা।

আজ শনিবার (২৫ মে) রাত ৮ টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী বিচ পয়েন্ট, সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট ও কলাতলী বিচে ঘুরে দেখা যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে পর্যটক ও স্হায়ীদের ভিড়। অনেক পর্যটক পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন সমুদ্র পরিস্থিতি।
বিপদ বোঝাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায় , কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে । যার কারণে বেড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউ এবং বাতাসের তীব্রতা।

ঢাকা উত্তরা এলাকা থেকে আসা পর্যটক সুমাইয়া জাফরিন বলেন, আসছি বন্ধুদের৷ নিয়ে ঘুরতে। তবে হটাৎ করে রেমাল নামের ঘূর্ণিঝড় হবে বলে শুনতে পেলাম। তাই রুমে বসে না থেকে সমুদ্রের তীব্রতা দেখতে আসলাম। ভালো লাগছে সমুদ্রের বাতাসের তীব্রতা ও গর্জন শুনতে পেরে। দুপুরে গোসল করছি। শুনলাম ঘূর্ণিঝড় হবে তাই সমুদ্রের কাছে এসে দেখতেছি সমুদ্রকে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভালোই লাগছে।

স্হানীয় রবিউল আলম বলেন, তীব্র গরমের পর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃষ্টি দিচ্ছে। সাথে সাগরে উত্তাল ঢেউ ও তীব্র বাতাস। প্রতিবার ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আগে দেখতে আসি এইবারও আসলাম। ভালো লাগতেছে অনেক।
অন্যদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে
লাইফগার্ড কর্মী’রা। রাতে কাউকে নামতে দিচ্ছে না সমুদ্র জলে।

এদিকে শনিবার (২৫ মে) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৭) বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৮.২০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৮০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৫ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কি.মি.দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সমুদ্র সৈকতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে পর্যটকদের ভিড়

Update Time : ০৮:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। কক্সবাজার থেকে এখনো ৪৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়ে রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
তবে উত্তাল ঢেউয়ের মাঝেও সমুদ্র দেখতে ভিড় জমিয়েছেন স্থায়ীয় দর্শনার্থী ও শত শত দেশ বিদেশের পর্যটক’রা।

আজ শনিবার (২৫ মে) রাত ৮ টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী বিচ পয়েন্ট, সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট ও কলাতলী বিচে ঘুরে দেখা যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে পর্যটক ও স্হায়ীদের ভিড়। অনেক পর্যটক পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন সমুদ্র পরিস্থিতি।
বিপদ বোঝাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায় , কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে । যার কারণে বেড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউ এবং বাতাসের তীব্রতা।

ঢাকা উত্তরা এলাকা থেকে আসা পর্যটক সুমাইয়া জাফরিন বলেন, আসছি বন্ধুদের৷ নিয়ে ঘুরতে। তবে হটাৎ করে রেমাল নামের ঘূর্ণিঝড় হবে বলে শুনতে পেলাম। তাই রুমে বসে না থেকে সমুদ্রের তীব্রতা দেখতে আসলাম। ভালো লাগছে সমুদ্রের বাতাসের তীব্রতা ও গর্জন শুনতে পেরে। দুপুরে গোসল করছি। শুনলাম ঘূর্ণিঝড় হবে তাই সমুদ্রের কাছে এসে দেখতেছি সমুদ্রকে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভালোই লাগছে।

স্হানীয় রবিউল আলম বলেন, তীব্র গরমের পর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃষ্টি দিচ্ছে। সাথে সাগরে উত্তাল ঢেউ ও তীব্র বাতাস। প্রতিবার ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আগে দেখতে আসি এইবারও আসলাম। ভালো লাগতেছে অনেক।
অন্যদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে
লাইফগার্ড কর্মী’রা। রাতে কাউকে নামতে দিচ্ছে না সমুদ্র জলে।

এদিকে শনিবার (২৫ মে) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৭) বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৮.২০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৮০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৫ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কি.মি.দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।