স্বর্ণের খোঁজে চলছে মাটি খনন প্রতিযোগিতা

  • Update Time : ০১:৩০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • / 41

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় স্বর্ণের খোঁজে মাটি খুঁড়ছেন সহস্রাধিক মানুষ। ওই ইট ভাটায় ভাগ্য বদলের আশায় দিন-রাত চলছে যেন মাটি খনন প্রতিযোগিতা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গভীর রাত থেকে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার মানুষ কেউ কোদাল, কেউ বসিলা, কেউ খুন্তি নিয়ে স্বর্ণের খোঁজে মাটি খনন করতে শুরু করে। রাতে দূর থেকে টর্চের আলোয় আরবিবি ইট ভাটা দেখলে আলোকিত পাহাড় বলেই মনে হবে। রাতের আঁধারে টর্চের আলোতেই চলছে মাটি খননের কাজ।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় গত বেশ কিছু দিন ধরে স্বর্ণের খোঁজে খনন প্রতিযোগিতা চলছে। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ বাড়ি হতে কোদাল-বসিলা নিয়ে ওই ভাটায় ভিড় করছেন দলে দলে। তাদের মধ্যে শ্রমিক শ্রেণির মানুষই বেশি। সোনা পেলে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে এই আশায় কেউ বসে নেই। আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে স্বর্ণের সন্ধানে ভাগ্য বদলের জন্য ছুটে এসেছেন নানান পেশার মানুষ। আবার নিরাশ হয়েও ফিরছেন অনেকেই।

স্থানীয়রা আরও বলছেন, ওই ভাটার মাটির স্তুপের ভেতর থেকে কয়েকজন সোনা পেয়েছে। কিন্তু কে সোনা পেয়েছে এ কথা কেউ বলছে না।

রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উমের আলী বলেন, এখন পর্যন্ত স্বর্ণ কেউ পেয়েছে এরকম আমি দেখিনি। তবে শুনেছি মানুষ নাকি স্বর্ণ পেয়েছে। এজন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছিল। প্রশাসন এসেছিল কিন্তু হাজার হাজার লোক জায়গাটা ঘিরে রাখায় তারা কিছুই চেক করতে পারেনি।

আরবিবি ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তুপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তুপ থেকে নাকি স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিন-রাত ওই মাটির স্তুপ খনন করে স্বর্ণ খুঁজছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো টুকরো পেয়েছে এমন খবর পাইনি।

রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


স্বর্ণের খোঁজে চলছে মাটি খনন প্রতিযোগিতা

Update Time : ০১:৩০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় স্বর্ণের খোঁজে মাটি খুঁড়ছেন সহস্রাধিক মানুষ। ওই ইট ভাটায় ভাগ্য বদলের আশায় দিন-রাত চলছে যেন মাটি খনন প্রতিযোগিতা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গভীর রাত থেকে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার মানুষ কেউ কোদাল, কেউ বসিলা, কেউ খুন্তি নিয়ে স্বর্ণের খোঁজে মাটি খনন করতে শুরু করে। রাতে দূর থেকে টর্চের আলোয় আরবিবি ইট ভাটা দেখলে আলোকিত পাহাড় বলেই মনে হবে। রাতের আঁধারে টর্চের আলোতেই চলছে মাটি খননের কাজ।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় গত বেশ কিছু দিন ধরে স্বর্ণের খোঁজে খনন প্রতিযোগিতা চলছে। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ বাড়ি হতে কোদাল-বসিলা নিয়ে ওই ভাটায় ভিড় করছেন দলে দলে। তাদের মধ্যে শ্রমিক শ্রেণির মানুষই বেশি। সোনা পেলে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে এই আশায় কেউ বসে নেই। আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে স্বর্ণের সন্ধানে ভাগ্য বদলের জন্য ছুটে এসেছেন নানান পেশার মানুষ। আবার নিরাশ হয়েও ফিরছেন অনেকেই।

স্থানীয়রা আরও বলছেন, ওই ভাটার মাটির স্তুপের ভেতর থেকে কয়েকজন সোনা পেয়েছে। কিন্তু কে সোনা পেয়েছে এ কথা কেউ বলছে না।

রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উমের আলী বলেন, এখন পর্যন্ত স্বর্ণ কেউ পেয়েছে এরকম আমি দেখিনি। তবে শুনেছি মানুষ নাকি স্বর্ণ পেয়েছে। এজন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছিল। প্রশাসন এসেছিল কিন্তু হাজার হাজার লোক জায়গাটা ঘিরে রাখায় তারা কিছুই চেক করতে পারেনি।

আরবিবি ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তুপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তুপ থেকে নাকি স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিন-রাত ওই মাটির স্তুপ খনন করে স্বর্ণ খুঁজছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো টুকরো পেয়েছে এমন খবর পাইনি।

রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।