ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে সর্বোচ্চ নেতার শোকবার্তা

  • Update Time : ০৮:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • / 69

ফরিদ আহমেদ মুন্না ( বিশেষ প্রতিনিধি):

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তাদের সফরসঙ্গীদের শাহাদাতের ঘটনায় শোকবার্তা দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।

তিনি শোকবার্তায় বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে জন-নন্দিত, যোগ্য ও পরিশ্রমী প্রেসিডেন্ট জনাব হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের শাহাদাতের তিক্ত খবরটি পেয়েছি। এই দুঃখজনক ঘটনাটিও ঘটেছে যখন তিনি (রায়িসি) সেবামূলক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এই সম্মানিত ও নিঃস্বার্থ ব্যক্তির নানা দায়িত্ব পালনের পুরো সময়টা সম্পূর্ণরূপে জনগণ ও ইসলামের সেবায় নিরলস প্রচেষ্টায় অতিবাহিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেও এটা একই রকম ছিল। প্রিয় রায়িসি ক্লান্তি কি জিনিস তা যেন জানতেনই না।

সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, তাঁর কাছে মানুষের কল্যাণ ও সন্তুষ্টি সবকিছুর ওপর অগ্রাধিকার পেতো। এটা আল্লাহর সন্তুষ্টিরই ইঙ্গিতবাহী, তাই কিছু অসাধু মানুষের পক্ষ থেকে অকৃতজ্ঞতা এবং উপহাস তাঁর জন্য পীড়াদায়ক হলেও এসব কিছুই তার দিনরাতের কাজ-কর্ম এবং উন্নয়ন প্রচেষ্টার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, এই কষ্টদায়ক ঘটনায় তাবরিজের জুমার নামাজের ইমাম হুজ্জাতুল ইসলাম হাশেম, সংগ্রামী ও সদাসচেষ্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং তাদের অন্য সফরসঙ্গীরা শহীদ হয়েছেন। এই ঘটনায় আমি পাঁচ দিনের সার্বজনীন শোক ঘোষণা করছি এবং ইরানের প্রিয় জনগণের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মুখবের দেশের নির্বাহী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন এবং তিনি সংসদ স্পিকার ও বিচার বিভাগের প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।

রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ (জলাধার) উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রায়িসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আরেকটি প্রকল্প পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। প্রেসিডেন্ট গতকাল সকালে তেহরান থেকে বিমানে করে তাবরিজে পৌঁছান এবং সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে জলাধার উদ্বোধনের স্থানে পৌঁছান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে সর্বোচ্চ নেতার শোকবার্তা

Update Time : ০৮:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

ফরিদ আহমেদ মুন্না ( বিশেষ প্রতিনিধি):

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তাদের সফরসঙ্গীদের শাহাদাতের ঘটনায় শোকবার্তা দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।

তিনি শোকবার্তায় বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে জন-নন্দিত, যোগ্য ও পরিশ্রমী প্রেসিডেন্ট জনাব হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের শাহাদাতের তিক্ত খবরটি পেয়েছি। এই দুঃখজনক ঘটনাটিও ঘটেছে যখন তিনি (রায়িসি) সেবামূলক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এই সম্মানিত ও নিঃস্বার্থ ব্যক্তির নানা দায়িত্ব পালনের পুরো সময়টা সম্পূর্ণরূপে জনগণ ও ইসলামের সেবায় নিরলস প্রচেষ্টায় অতিবাহিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেও এটা একই রকম ছিল। প্রিয় রায়িসি ক্লান্তি কি জিনিস তা যেন জানতেনই না।

সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, তাঁর কাছে মানুষের কল্যাণ ও সন্তুষ্টি সবকিছুর ওপর অগ্রাধিকার পেতো। এটা আল্লাহর সন্তুষ্টিরই ইঙ্গিতবাহী, তাই কিছু অসাধু মানুষের পক্ষ থেকে অকৃতজ্ঞতা এবং উপহাস তাঁর জন্য পীড়াদায়ক হলেও এসব কিছুই তার দিনরাতের কাজ-কর্ম এবং উন্নয়ন প্রচেষ্টার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, এই কষ্টদায়ক ঘটনায় তাবরিজের জুমার নামাজের ইমাম হুজ্জাতুল ইসলাম হাশেম, সংগ্রামী ও সদাসচেষ্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং তাদের অন্য সফরসঙ্গীরা শহীদ হয়েছেন। এই ঘটনায় আমি পাঁচ দিনের সার্বজনীন শোক ঘোষণা করছি এবং ইরানের প্রিয় জনগণের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মুখবের দেশের নির্বাহী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন এবং তিনি সংসদ স্পিকার ও বিচার বিভাগের প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।

রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ (জলাধার) উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রায়িসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আরেকটি প্রকল্প পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। প্রেসিডেন্ট গতকাল সকালে তেহরান থেকে বিমানে করে তাবরিজে পৌঁছান এবং সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে জলাধার উদ্বোধনের স্থানে পৌঁছান।