অবৈধ ক্রিপ্টোতে লেনদেন না করার আহ্বান গভর্নরের

  • Update Time : ০৭:৪১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • / 72

দেশ থেকে অর্থপাচার ঠেকাতে হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি আমাদের দেশে সম্পূর্ণ অবৈধ বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১১ মার্চ) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর দফতরে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গভর্নর বলেন, প্রবাসীরা হয়তো ৫০০ টাকা দেশে পরিবারের কাছে পাঠাবেন, তখন সে ওখানেই পরিচিত কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে বলছেন দেশে তার পরিবারকে দিতে। ওই টাকা বিদেশেই থেকে যায়। তার বিপরীতে বাংলাদেশে কোনো একজন প্রতিনিধি টাকা প্রদান করেন। টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে আগে যেমন বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসতেন, এখন সেটি এমএফএসের মাধ্যমে হচ্ছে। এ ধরনের ১ থেকে ২শ অ্যাকাউন্ট প্রতিদিন বন্ধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি ২০২২ সালে যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করি, তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট ছিল। সে সময় প্রথম পদক্ষেপ নিই ওভার ইনভয়েসিং বন্ধে। কারণ দেশ থেকে পকেটে করে ডলার পাচার খুব কম হয়। বড় ধরনের অর্থ পাচারের ঘটনাগুলো ওভার ইনভয়েসিংয়ে হয়ে থাকে। আবার রফতানি পণ্যের মুনাফা বিদেশে রেখেও অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটে। সেটি রোধেও উদ্যোগ নেয়া হয়।

এছাড়াও তিনি বলেন, দেশে বছরে মানি চেঞ্জারের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন। আর ব্যাংকিং চ্যানেলে হয় ২৭০ বিলিয়ন। কিন্তু ছোট একটি অংশের লেনদেন সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা যখন ডলারের রেট ২ টাকা বাড়িয়ে দেন, তখন অনেক প্রবাসীই রেমিট্যান্সের অর্থ ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়। এজন্য মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।

কর্মশালার উদ্বোধনীতে সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অবৈধ ক্রিপ্টোতে লেনদেন না করার আহ্বান গভর্নরের

Update Time : ০৭:৪১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

দেশ থেকে অর্থপাচার ঠেকাতে হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি আমাদের দেশে সম্পূর্ণ অবৈধ বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১১ মার্চ) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর দফতরে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গভর্নর বলেন, প্রবাসীরা হয়তো ৫০০ টাকা দেশে পরিবারের কাছে পাঠাবেন, তখন সে ওখানেই পরিচিত কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে বলছেন দেশে তার পরিবারকে দিতে। ওই টাকা বিদেশেই থেকে যায়। তার বিপরীতে বাংলাদেশে কোনো একজন প্রতিনিধি টাকা প্রদান করেন। টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে আগে যেমন বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসতেন, এখন সেটি এমএফএসের মাধ্যমে হচ্ছে। এ ধরনের ১ থেকে ২শ অ্যাকাউন্ট প্রতিদিন বন্ধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি ২০২২ সালে যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করি, তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট ছিল। সে সময় প্রথম পদক্ষেপ নিই ওভার ইনভয়েসিং বন্ধে। কারণ দেশ থেকে পকেটে করে ডলার পাচার খুব কম হয়। বড় ধরনের অর্থ পাচারের ঘটনাগুলো ওভার ইনভয়েসিংয়ে হয়ে থাকে। আবার রফতানি পণ্যের মুনাফা বিদেশে রেখেও অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটে। সেটি রোধেও উদ্যোগ নেয়া হয়।

এছাড়াও তিনি বলেন, দেশে বছরে মানি চেঞ্জারের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন। আর ব্যাংকিং চ্যানেলে হয় ২৭০ বিলিয়ন। কিন্তু ছোট একটি অংশের লেনদেন সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা যখন ডলারের রেট ২ টাকা বাড়িয়ে দেন, তখন অনেক প্রবাসীই রেমিট্যান্সের অর্থ ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়। এজন্য মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।

কর্মশালার উদ্বোধনীতে সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস।