বাণিজ্য সহজ করতে বাংলাদেশে চীনের ব্যাংক কার্যক্রম চালুর আহ্বান

  • Update Time : ০৯:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 109

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সহজ করতে চায়না মুদ্রাকে সরকার অফিশিয়াল মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই চীন সরকারের প্রতি ব্যাংকিং চ্যানেল সহজ করতে চীনের একটি ব্যাংকের কার্যক্রম বাংলাদেশে চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মো. আহসানুল ইসলাম টিটু। বাসস

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিসিসিআই) আয়োজিত জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য চীনের বাণিজ্য সহজ করতে চায়না মুদ্রাকে সরকার অফিশিয়াল মুদ্রা হিসেবে গত মাস থেকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই চীন সরকারের প্রতি আহ্বান, ব্যাকিং চ্যানেল সহজ করতে চীনের একটি ব্যাংকের কার্যক্রম বাংলাদেশ থেকে চালু করা হোক।

বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংযোগস্থল হতে পারে উল্লেখ করে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৈষম্যের ফারাক অনেক বেশি। প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য। এই ব্যবধান কমাতে দেশে চীনের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। চীনের বিনিয়োগের মাধ্যমে তৈরি পণ্য আবার রপ্তানি করে এই বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার সমস্যা চিহ্নিত করে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য অর্জন করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি-রপ্তানি করে। ব্যবসায় সহায়ক নীতি নিয়ে কাজ করে। এই নীতির মাধ্যমে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। বিশেষ করে রমজানের পণ্য নিয়ে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তেল, ছোলা, চিলি, ডাল ও পেঁয়াজ এসব পণ্যর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়ে একমত। আমাদের আশা, এসব পণ্যে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন থাকবে।

তিনি জানান, বিশেষ করে আসন্ন রমজানের পণ্য বাজারে স্বাভাবিক সরবরাহ রাখতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, পেঁয়াজ ও চিনি ভারত থেকে সহজে আমদানি করা যাবে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, একসময় ৯০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ এখন ৪৭০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি। এর ধারাবাহিকতায় ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বাড়াতে চায়না চেম্বারকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাণিজ্য সহজ করতে বাংলাদেশে চীনের ব্যাংক কার্যক্রম চালুর আহ্বান

Update Time : ০৯:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সহজ করতে চায়না মুদ্রাকে সরকার অফিশিয়াল মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই চীন সরকারের প্রতি ব্যাংকিং চ্যানেল সহজ করতে চীনের একটি ব্যাংকের কার্যক্রম বাংলাদেশে চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মো. আহসানুল ইসলাম টিটু। বাসস

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিসিসিআই) আয়োজিত জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য চীনের বাণিজ্য সহজ করতে চায়না মুদ্রাকে সরকার অফিশিয়াল মুদ্রা হিসেবে গত মাস থেকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই চীন সরকারের প্রতি আহ্বান, ব্যাকিং চ্যানেল সহজ করতে চীনের একটি ব্যাংকের কার্যক্রম বাংলাদেশ থেকে চালু করা হোক।

বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংযোগস্থল হতে পারে উল্লেখ করে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৈষম্যের ফারাক অনেক বেশি। প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য। এই ব্যবধান কমাতে দেশে চীনের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। চীনের বিনিয়োগের মাধ্যমে তৈরি পণ্য আবার রপ্তানি করে এই বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার সমস্যা চিহ্নিত করে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য অর্জন করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি-রপ্তানি করে। ব্যবসায় সহায়ক নীতি নিয়ে কাজ করে। এই নীতির মাধ্যমে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। বিশেষ করে রমজানের পণ্য নিয়ে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তেল, ছোলা, চিলি, ডাল ও পেঁয়াজ এসব পণ্যর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়ে একমত। আমাদের আশা, এসব পণ্যে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন থাকবে।

তিনি জানান, বিশেষ করে আসন্ন রমজানের পণ্য বাজারে স্বাভাবিক সরবরাহ রাখতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, পেঁয়াজ ও চিনি ভারত থেকে সহজে আমদানি করা যাবে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, একসময় ৯০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ এখন ৪৭০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি। এর ধারাবাহিকতায় ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বাড়াতে চায়না চেম্বারকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।