সাগরে অপহৃত ১৯ পাকিস্তানি নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় বাহিনীর

  • Update Time : ১২:২৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 55

সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে এক মাছধরা ট্রলারের ১৯ পাকিস্তানি নাবিককে জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

জলদস্যুরা ওই ট্রলারটি ছিনতাই করে নাবিকদের অপহরণ করেছিল। সোমবার তাদের উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা।

এটি ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধজাহাজটির দ্বিতীয় জলসদ্যুবিরোধী অভিযান ছিল, জানিয়েছে ভারতের নৌবাহিনী।

ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার ট্রলার এফভি নাঈমীতে করে আরব সাগরে মাছ ধরছিল ১৯ পাকিস্তানি নাবিক। ১১ জন সশস্ত্র জলদস্যু তাদের ট্রলারটিতে উঠে সবাইকে জিম্মি করে। এরই এক পর্যায়ে আইএনএস সুমিত্রা ট্রলারটিকে আটক করে জিম্মি সব নাবিককে ছেড়ে দিতে বাধ্য করে।

এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, “২৯ জানুয়ারি, সোমবার বিকালে ঘটনা নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সুমিত্রা দ্রুত সাড়া দিয়ে ধাওয়া করে মাছধরা ট্রলারটি আটকায়। যুদ্ধজাহাজের হেলিকপ্টার ও নৌকাগুলো ট্রলারটি ঘিরে ফেলে এবং এর ক্রু ও জলযানটিকে নিরাপদে মুক্ত করে।”

ভারতীয় নৌবাহিনীর সেনারা ট্রলারটিতে উঠে তল্লাশি চালায়, ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ও জলদস্যুদের আটক করে।

এর আগের দিন রোববার ইরানের পতাকাবাহী আরেকটি মাছধরা ট্রলার এফভি ইমামের বিপদ সঙ্কেতে সাড়া দিয়েছিল আইএনএস সুমিত্রা। এই জলযানটিকে সোমালি জলদস্যুরা ছিনতাই করেছিল। এই ট্রলারের ১৭ জন ইরানি ক্রুকেও নিরাপদে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা।

দু’টি ঘটনাই ভারতের পশ্চিম উপকূলের কোচি থেকে আনুমানিক ৮৫০ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে ঘটেছে বলে জানিয়েছে তারা; খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সাগরে অপহৃত ১৯ পাকিস্তানি নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় বাহিনীর

Update Time : ১২:২৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে এক মাছধরা ট্রলারের ১৯ পাকিস্তানি নাবিককে জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

জলদস্যুরা ওই ট্রলারটি ছিনতাই করে নাবিকদের অপহরণ করেছিল। সোমবার তাদের উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা।

এটি ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধজাহাজটির দ্বিতীয় জলসদ্যুবিরোধী অভিযান ছিল, জানিয়েছে ভারতের নৌবাহিনী।

ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার ট্রলার এফভি নাঈমীতে করে আরব সাগরে মাছ ধরছিল ১৯ পাকিস্তানি নাবিক। ১১ জন সশস্ত্র জলদস্যু তাদের ট্রলারটিতে উঠে সবাইকে জিম্মি করে। এরই এক পর্যায়ে আইএনএস সুমিত্রা ট্রলারটিকে আটক করে জিম্মি সব নাবিককে ছেড়ে দিতে বাধ্য করে।

এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, “২৯ জানুয়ারি, সোমবার বিকালে ঘটনা নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সুমিত্রা দ্রুত সাড়া দিয়ে ধাওয়া করে মাছধরা ট্রলারটি আটকায়। যুদ্ধজাহাজের হেলিকপ্টার ও নৌকাগুলো ট্রলারটি ঘিরে ফেলে এবং এর ক্রু ও জলযানটিকে নিরাপদে মুক্ত করে।”

ভারতীয় নৌবাহিনীর সেনারা ট্রলারটিতে উঠে তল্লাশি চালায়, ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ও জলদস্যুদের আটক করে।

এর আগের দিন রোববার ইরানের পতাকাবাহী আরেকটি মাছধরা ট্রলার এফভি ইমামের বিপদ সঙ্কেতে সাড়া দিয়েছিল আইএনএস সুমিত্রা। এই জলযানটিকে সোমালি জলদস্যুরা ছিনতাই করেছিল। এই ট্রলারের ১৭ জন ইরানি ক্রুকেও নিরাপদে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা।

দু’টি ঘটনাই ভারতের পশ্চিম উপকূলের কোচি থেকে আনুমানিক ৮৫০ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে ঘটেছে বলে জানিয়েছে তারা; খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।