দেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতে ট্রিলিয়ন ডলারের হাতছানি

  • Update Time : ০৩:১৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 63

বাংলাদেশে ইলেকট্রনিকস শিল্পে বিপুল আয়ের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর খাতে। বিশাল এই বাজারের কিয়দংশ ধরতে পারলে দেশের পোশাক রপ্তানি আয়কেও ছাড়িয়ে যাবে সেমিকন্ডাক্টর খাত। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে, যা ২০২৯ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলার (১০০ বিলিয়ন ডলার বা ১১ লাখ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে যাবে।

ডিজিটাল জগতে সব ডিভাইসের প্রাণ সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ। স্মার্টফোন থেকে কম্পিউটার, গাড়ি, ওয়াশিং মেশিনসহ সব ধরনের যন্ত্রই চিপনির্ভর। চিপ উৎপাদনে বৈশ্বিক পর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও কম্পানি বিনিয়োগ বাড়িয়ে যাচ্ছে। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে সারা বিশ্বের ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি খাতে সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপ ম্যানুফ্যাকচারিং খাত দ্রুত ক্রমবর্ধমান শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

এশিয়ার অনেক দেশ এই বাজার ধরতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করছে। ভারত, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া সেমিকন্ডাক্টর খাত থেকে বিপুল অঙ্কের আয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে দেশে সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন থেকে আয় মাত্র ১০০ মিলিয়ন ডলার।

এই আয় ৫০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে তা কয়েক বিলিয়ন ডলার করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর যুগে প্রবেশ করেছে। দেশেই মাইক্রোচিপ থেকে ন্যানো চিপ ইকো সিস্টেম তৈরি হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, মাইক্রোচিপের নকশা এবং সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তিতে আমরা আমাদের সক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে রিসোর্স ট্যালেন্টপুল তৈরি করছি। ফলে আগামী ১০ বছরে ভালোভাবেই বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে অংশ নিতে পারব।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতে ট্রিলিয়ন ডলারের হাতছানি

Update Time : ০৩:১৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশে ইলেকট্রনিকস শিল্পে বিপুল আয়ের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর খাতে। বিশাল এই বাজারের কিয়দংশ ধরতে পারলে দেশের পোশাক রপ্তানি আয়কেও ছাড়িয়ে যাবে সেমিকন্ডাক্টর খাত। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে, যা ২০২৯ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলার (১০০ বিলিয়ন ডলার বা ১১ লাখ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে যাবে।

ডিজিটাল জগতে সব ডিভাইসের প্রাণ সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ। স্মার্টফোন থেকে কম্পিউটার, গাড়ি, ওয়াশিং মেশিনসহ সব ধরনের যন্ত্রই চিপনির্ভর। চিপ উৎপাদনে বৈশ্বিক পর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও কম্পানি বিনিয়োগ বাড়িয়ে যাচ্ছে। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে সারা বিশ্বের ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি খাতে সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপ ম্যানুফ্যাকচারিং খাত দ্রুত ক্রমবর্ধমান শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

এশিয়ার অনেক দেশ এই বাজার ধরতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করছে। ভারত, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া সেমিকন্ডাক্টর খাত থেকে বিপুল অঙ্কের আয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে দেশে সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন থেকে আয় মাত্র ১০০ মিলিয়ন ডলার।

এই আয় ৫০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে তা কয়েক বিলিয়ন ডলার করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর যুগে প্রবেশ করেছে। দেশেই মাইক্রোচিপ থেকে ন্যানো চিপ ইকো সিস্টেম তৈরি হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, মাইক্রোচিপের নকশা এবং সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তিতে আমরা আমাদের সক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে রিসোর্স ট্যালেন্টপুল তৈরি করছি। ফলে আগামী ১০ বছরে ভালোভাবেই বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে অংশ নিতে পারব।’