বিএসইসি চেয়ারম্যানের উপর দায় চাপালেন গভর্নর

  • Update Time : ০৬:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 79

বার বার আশ্বাস দিলেও এবারের মুদ্রানীতিতে কিছুই নেই দেশের পুঁজিবাজারের জন্য। আর এর প্রভাব বাজারের জন্য কেমন হবে এই প্রশ্নে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের উপর দায় চাপালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

এসময় ‘ধারাবাহিক ভাবে মনিটরিং পলিসিতে নীতি সুধহার বাড়ানো হচ্ছে এতে পুঁজিবাজার থেকে আমানত ব্যাংকে আসার কথা, কিন্তু সেভাবে আসেনি। আর ফ্লোর প্রাইজ বহাল থাকার কারণে তারল্য সংকট রয়েছে পুঁজিবভাজারেও। কিন্তু এই মুদ্রানীতি কারণে পুঁজিবাজারে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে’, সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নে জবাবে গভর্নর বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না, এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান জানেন।

২০২২ সালের জুন মাসের ১১ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের পদ ছেরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগদেন আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নর হিসেবে তিনি যোগদানের পর পরই বিএসইসি থেকে জানানো হয়, সচিব হিসেবে থাকাকালীন সর্বদা পুঁজিবাজারবান্ধব নেতৃত্ব প্রদান করেছেন তিনি। দেশের পুঁজিবাজারের ক্রমবর্ধমান বিকাশে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আব্দুর রউফের যোগ্য ও কুশলী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আরও ঘনিষ্ঠ ও নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে। সংস্থা দুটি দেশের অর্থনীতিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

এছাড়াও, পুঁজিবাজারে বন্ড কেনাবেচা করার জন্য যে সেকেন্ডারি মার্কেট চালু হচ্ছে, সে মার্কেটের উন্নয়নে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

২০২২ সালের ০৪ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা চাই, ভালো ভালো কোম্পানিগুলো বন্ড নিয়ে আসুক। তারা বন্ড ইস্যু করুক। সেকেন্ডারি মার্কেটটা প্রাণবন্ত করুক। সেকেন্ডারি মার্কেট প্রাণবন্ত করার জন্য এবং নতুন বন্ড আনার জন্য যে ধরনের নীতি সহায়তা করা দরকার বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা সবসময় করবে।‘

পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ছাড় দিয়ে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক সুকুকে করা বিনিয়োগ এক্সপোজারের অন্তর্ভূক্ত না করার বিষয়েও বিশেষ ভূমিকা রাখেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

এছাড়াও বিএসইসি চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে চলতি অর্থ-বছরের শেষ মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজার নিয়ে কিছু না থাকায় এর প্রভাব কেমন হবে সেই প্রশ্ন এরিয়ে গিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যানের উপরই দায় চাপালেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিএসইসি চেয়ারম্যানের উপর দায় চাপালেন গভর্নর

Update Time : ০৬:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

বার বার আশ্বাস দিলেও এবারের মুদ্রানীতিতে কিছুই নেই দেশের পুঁজিবাজারের জন্য। আর এর প্রভাব বাজারের জন্য কেমন হবে এই প্রশ্নে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের উপর দায় চাপালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

এসময় ‘ধারাবাহিক ভাবে মনিটরিং পলিসিতে নীতি সুধহার বাড়ানো হচ্ছে এতে পুঁজিবাজার থেকে আমানত ব্যাংকে আসার কথা, কিন্তু সেভাবে আসেনি। আর ফ্লোর প্রাইজ বহাল থাকার কারণে তারল্য সংকট রয়েছে পুঁজিবভাজারেও। কিন্তু এই মুদ্রানীতি কারণে পুঁজিবাজারে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে’, সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নে জবাবে গভর্নর বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না, এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান জানেন।

২০২২ সালের জুন মাসের ১১ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের পদ ছেরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগদেন আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নর হিসেবে তিনি যোগদানের পর পরই বিএসইসি থেকে জানানো হয়, সচিব হিসেবে থাকাকালীন সর্বদা পুঁজিবাজারবান্ধব নেতৃত্ব প্রদান করেছেন তিনি। দেশের পুঁজিবাজারের ক্রমবর্ধমান বিকাশে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আব্দুর রউফের যোগ্য ও কুশলী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আরও ঘনিষ্ঠ ও নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে। সংস্থা দুটি দেশের অর্থনীতিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

এছাড়াও, পুঁজিবাজারে বন্ড কেনাবেচা করার জন্য যে সেকেন্ডারি মার্কেট চালু হচ্ছে, সে মার্কেটের উন্নয়নে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

২০২২ সালের ০৪ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা চাই, ভালো ভালো কোম্পানিগুলো বন্ড নিয়ে আসুক। তারা বন্ড ইস্যু করুক। সেকেন্ডারি মার্কেটটা প্রাণবন্ত করুক। সেকেন্ডারি মার্কেট প্রাণবন্ত করার জন্য এবং নতুন বন্ড আনার জন্য যে ধরনের নীতি সহায়তা করা দরকার বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা সবসময় করবে।‘

পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ছাড় দিয়ে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক সুকুকে করা বিনিয়োগ এক্সপোজারের অন্তর্ভূক্ত না করার বিষয়েও বিশেষ ভূমিকা রাখেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

এছাড়াও বিএসইসি চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে চলতি অর্থ-বছরের শেষ মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজার নিয়ে কিছু না থাকায় এর প্রভাব কেমন হবে সেই প্রশ্ন এরিয়ে গিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যানের উপরই দায় চাপালেন তিনি।