তাজরীন গার্মেন্টস ট্র্যাজেডির ১১ বছর আজ

  • Update Time : ০২:০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / 123

আজ ২৪ নভেম্বরর। তাজরীন গার্মেন্টস ট্র্যাজেডির ১১ বছর। ২০১২ সালের এই দিনে সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তোবা গ্রুপের তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিকের প্রাণহানি হয়েছিল।

সেদিনের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল অনেকের। যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

এদিকে, এতদিনেও ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাননি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা। এ উপলক্ষে গতকাল (২৩ নভেম্বর) রাতে বিচারের দাবিতে ইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর এলাকায় পুড়ে যাওয়া তাজরীন গার্মেন্টসের সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা।

এতে অংশ নেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যসহ আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা তাজরীন গার্মেন্টসের মালিক দেলোয়ারের বিচারের দাবি জানান সরকারের কাছে।

শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, এই দীর্ঘ ১১ বছরেও হতাহত শ্রমিকরা পায়নি পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা। এ ছাড়া সরকার ও বিজিএমইএর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মেলেনি প্রাপ্তি।

তাজরিন ফ্যাশন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১২ জন শ্রমিক মারা যান। আর আহত হন প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক। পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আরও শত শত শ্রমিক।

কারখানাটিতে এক হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন, দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


তাজরীন গার্মেন্টস ট্র্যাজেডির ১১ বছর আজ

Update Time : ০২:০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

আজ ২৪ নভেম্বরর। তাজরীন গার্মেন্টস ট্র্যাজেডির ১১ বছর। ২০১২ সালের এই দিনে সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তোবা গ্রুপের তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিকের প্রাণহানি হয়েছিল।

সেদিনের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল অনেকের। যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

এদিকে, এতদিনেও ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাননি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা। এ উপলক্ষে গতকাল (২৩ নভেম্বর) রাতে বিচারের দাবিতে ইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর এলাকায় পুড়ে যাওয়া তাজরীন গার্মেন্টসের সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা।

এতে অংশ নেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যসহ আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা তাজরীন গার্মেন্টসের মালিক দেলোয়ারের বিচারের দাবি জানান সরকারের কাছে।

শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, এই দীর্ঘ ১১ বছরেও হতাহত শ্রমিকরা পায়নি পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা। এ ছাড়া সরকার ও বিজিএমইএর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মেলেনি প্রাপ্তি।

তাজরিন ফ্যাশন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১২ জন শ্রমিক মারা যান। আর আহত হন প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক। পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আরও শত শত শ্রমিক।

কারখানাটিতে এক হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন, দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।