ইসরায়েলে দুপক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

  • Update Time : ১২:২৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 124

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরে উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়ার দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ইসরায়েলে বসবাসরত ইরিত্রিয়ার সরকার সমর্থক শরণার্থীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দেশটির দূতাবাস। এ খবরে ইসরায়েলে বসবাসরত ইরিত্রিয়ার সরকারবিরোধী শত শত শরণার্থী সেখানে গেলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশি বাধা সত্ত্বেও পুলিশ ও অন্যান্য সাধারণ গাড়িতে ভাঙচুর করেছে। এমনকি তারা ইরিত্রিয়ান দূতাবাসের পাশে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভ্ঙ্গ করে পুলিশ।

ইসরায়েলের জরুরি চিকিৎসাসেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম বলছে, তারা ১১৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর।

আলজাজিরা বলছে, দুপক্ষের এই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইরিত্রিয়ার সরকার-সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকবে, এমন খবরে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ইসরায়েলে প্রায় ২০ হাজার ইরিত্রিয়ান শরণার্থী বসবাস করেন। তবে দেশের সরকারকে সমর্থন নিয়ে তাদের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। এমনকি বিরোধীরা বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তাদের দেশকে ‘আফ্রিকার উত্তর কোরিয়া’ বলে থাকেন।

১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ইরিত্রিয়া। এরপর থেকে ৭৭ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস আফওয়ারকি ক্ষমতায় রয়েছেন। এমনকি দেশের প্রায় ৩৫ বছরের ইতিহাসে এখনো কোনো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সেখানে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের ওপর চলে ব্যাপক দমন-পীড়ন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইসরায়েলে দুপক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

Update Time : ১২:২৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরে উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়ার দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ইসরায়েলে বসবাসরত ইরিত্রিয়ার সরকার সমর্থক শরণার্থীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দেশটির দূতাবাস। এ খবরে ইসরায়েলে বসবাসরত ইরিত্রিয়ার সরকারবিরোধী শত শত শরণার্থী সেখানে গেলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশি বাধা সত্ত্বেও পুলিশ ও অন্যান্য সাধারণ গাড়িতে ভাঙচুর করেছে। এমনকি তারা ইরিত্রিয়ান দূতাবাসের পাশে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভ্ঙ্গ করে পুলিশ।

ইসরায়েলের জরুরি চিকিৎসাসেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম বলছে, তারা ১১৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর।

আলজাজিরা বলছে, দুপক্ষের এই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইরিত্রিয়ার সরকার-সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকবে, এমন খবরে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ইসরায়েলে প্রায় ২০ হাজার ইরিত্রিয়ান শরণার্থী বসবাস করেন। তবে দেশের সরকারকে সমর্থন নিয়ে তাদের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। এমনকি বিরোধীরা বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তাদের দেশকে ‘আফ্রিকার উত্তর কোরিয়া’ বলে থাকেন।

১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ইরিত্রিয়া। এরপর থেকে ৭৭ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস আফওয়ারকি ক্ষমতায় রয়েছেন। এমনকি দেশের প্রায় ৩৫ বছরের ইতিহাসে এখনো কোনো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সেখানে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের ওপর চলে ব্যাপক দমন-পীড়ন।