আফগান নারীদের বিদেশেও পড়তে দেবে না তালেবান

  • Update Time : ০৯:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / 134

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নারীদের জোরপূর্বক ঘরবন্দি করে রাখার পণ করেছে তালেবান। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ, তৃতীয় শ্রেণির বেশি পড়াশোনা নিষিদ্ধ, পার্কে ঢোকা বন্ধ, পার্লার বন্ধ, ক্ষমতা দখলের পর থেকেই এমন একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এবার আফগান মেয়েদের বিদেশে পড়তে যেতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তালেবান শাসকরা।

আফগানিস্তানে নারীদের জন্য শিক্ষার দরজা বন্ধ হয়েছে আগেই। এবার বিদেশে পড়তে যেতেও বাধা দিচ্ছে তালেবান সরকার। এমন বিতর্কিত পদক্ষেপে ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষার্থী। নিজ দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ একেবারে কমে যাওয়া সত্ত্বেও পড়াশোনা অব্যাহত রেখেছেন অনেক নারী শিক্ষার্থী। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছেন অনেকে।

তালেবান আফগানিস্তানে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করার পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আফগান নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এই বৃত্তি চালু করেন আমিরাতি বিলিয়নিয়ার শেখ খালাফ আহমদ আল হাবতুর। এ পর্যন্ত মোট ১০০ জন আফগান নারী এই বৃত্তি পেয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আগে থেকেই বিদেশে ছিলেন, তাই তারা এরই মধ্যে দুবাই চলে গেছেন।

গত ২৩ জুলাই পরিবারকে বিদায় জানিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন একদল নারী শিক্ষার্থী। তবে খুব শিগগির স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। কারণ, তালেবান কর্মকর্তারা তাদের টিকেট ও স্টুডেন্ট ভিসা দেখে বলেন, স্টুডেন্ট ভিসায় মেয়েদের আফগানিস্তান ছাড়ার অনুমতি নেই। তাই কমপক্ষে ৬০ নারী শিক্ষার্থীকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয় তালেবান।

সশস্ত্র গোষ্ঠীটি মেয়েদের একা বিদেশভ্রমণও নিষিদ্ধ করেছে। কেবল মাহরাম বা স্বামী, ভাই, বাবা, চাচা অথবা নিকটাত্মীয় কোনো পুরুষ সঙ্গী সাথে থাকলেই নারীদের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। তবে, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশগামীরা সেই সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না।

ভুক্তভোগিরা বলছেন, মাহরাম সাথে থাকা তিন শিক্ষার্থী বিমানে উঠলেও আফগানিস্তানের নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদেরও বিমান থেকে নামিয়ে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী বাকিরা ভয়ে গণমাধ্যমের ষঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে দুবাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং আল হাবতুর আফগান শিক্ষার্থীদের আটকা পড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই সাথে তালেবান সরকারের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আফগান নারীদের বিদেশেও পড়তে দেবে না তালেবান

Update Time : ০৯:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নারীদের জোরপূর্বক ঘরবন্দি করে রাখার পণ করেছে তালেবান। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ, তৃতীয় শ্রেণির বেশি পড়াশোনা নিষিদ্ধ, পার্কে ঢোকা বন্ধ, পার্লার বন্ধ, ক্ষমতা দখলের পর থেকেই এমন একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এবার আফগান মেয়েদের বিদেশে পড়তে যেতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তালেবান শাসকরা।

আফগানিস্তানে নারীদের জন্য শিক্ষার দরজা বন্ধ হয়েছে আগেই। এবার বিদেশে পড়তে যেতেও বাধা দিচ্ছে তালেবান সরকার। এমন বিতর্কিত পদক্ষেপে ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষার্থী। নিজ দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ একেবারে কমে যাওয়া সত্ত্বেও পড়াশোনা অব্যাহত রেখেছেন অনেক নারী শিক্ষার্থী। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছেন অনেকে।

তালেবান আফগানিস্তানে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করার পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আফগান নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এই বৃত্তি চালু করেন আমিরাতি বিলিয়নিয়ার শেখ খালাফ আহমদ আল হাবতুর। এ পর্যন্ত মোট ১০০ জন আফগান নারী এই বৃত্তি পেয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আগে থেকেই বিদেশে ছিলেন, তাই তারা এরই মধ্যে দুবাই চলে গেছেন।

গত ২৩ জুলাই পরিবারকে বিদায় জানিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন একদল নারী শিক্ষার্থী। তবে খুব শিগগির স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। কারণ, তালেবান কর্মকর্তারা তাদের টিকেট ও স্টুডেন্ট ভিসা দেখে বলেন, স্টুডেন্ট ভিসায় মেয়েদের আফগানিস্তান ছাড়ার অনুমতি নেই। তাই কমপক্ষে ৬০ নারী শিক্ষার্থীকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয় তালেবান।

সশস্ত্র গোষ্ঠীটি মেয়েদের একা বিদেশভ্রমণও নিষিদ্ধ করেছে। কেবল মাহরাম বা স্বামী, ভাই, বাবা, চাচা অথবা নিকটাত্মীয় কোনো পুরুষ সঙ্গী সাথে থাকলেই নারীদের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। তবে, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশগামীরা সেই সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না।

ভুক্তভোগিরা বলছেন, মাহরাম সাথে থাকা তিন শিক্ষার্থী বিমানে উঠলেও আফগানিস্তানের নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদেরও বিমান থেকে নামিয়ে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী বাকিরা ভয়ে গণমাধ্যমের ষঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে দুবাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং আল হাবতুর আফগান শিক্ষার্থীদের আটকা পড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই সাথে তালেবান সরকারের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন তিনি।