ইসরায়েলি মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরখাস্ত
- Update Time : ১০:৩১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
- / 132
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে বৈঠকের কারণে লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা মাঙ্গুশকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) মাঙ্গুশকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় সদ্য বরখাস্তকৃত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুরও ঘোষণা দিয়েছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মূলত, লিবিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করায় মাঙ্গুশকে বরখাস্ত এবং তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে বৈঠক করেছিলেন লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা মাঙ্গুশ এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। এই বৈঠকের বিষয়ে ইসরায়েল এক বিবৃতিতে বলেছে, গত সপ্তাহের ওই বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকের খবর প্রকাশ্যে আসার পর লিবিয়ায় ছোট আকারে বিক্ষোভ হয়। মূলত দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না লিবিয়া।
লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নাজলা মাঙ্গুশ ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। যা ঘটেছে তা হলো- ইতালির পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকের সময় অপ্রস্তুত, অপ্রত্যাশিত একটি সাক্ষাৎ। আকস্মিক সেই সাক্ষাতে কোনো আলোচনা, চুক্তি বা পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি (লিবিয়ার) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলেছি।’
উল্লেখ্য, লিবিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি ২০১১ সালে উৎখাত হওয়ার পর থেকে দেশটির ক্ষমতা নিয়ে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মাঝে লড়াই চলছে। মূলত বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘাত এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিক্ত অভ্যন্তরীণ বিভাজনের কারণে লিবিয়ার বৈদেশিক নীতি বেশ জটিল একটি বিষয় বলে মনে করা হয়।