ইউক্রেনীয় ড্রোন ও মিসাইল প্রতিহতের দাবি রাশিয়ার

  • Update Time : ০১:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / 138

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একটি বড় আকারের ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার ভোরে তারা জানায়, ৯টি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয় এবং আরও ৩৩টিকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

এছাড়াও মস্কো অঞ্চলের সীমান্তবর্তী কালুগা অঞ্চলের উপর দিয়ে ইউক্রেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একটি মিসাইলও গুলি করে নামানো হয় বলে জানানো হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ক্রিমিয়া কিয়েভের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানে হামলা আরও জোরালো হয়েছে।

ক্রিমিয়ান বন্দর শহর সেভাস্তোপলে মস্কোর নিযুক্ত গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন, খেরসনস প্রমোনটরিতে বেশ কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। কেপটি সেভাস্তোপলের উপকণ্ঠে অবস্থিত, যা রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহরের আবাসস্থল।

তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট করা ৪২টির মধ্যে সেই ড্রোনগুলো ছিল কিনা তা পরিষ্কার নয়।

রাজভোজায়েভ বলেছেন, সমস্ত বাহিনী এবং পরিষেবাগুলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে।

কিয়েভ বারবার বলেছে যে তারা ক্রিমিয়া ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। ড্রোন হামলার দু’দিন আগে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি সম্মেলনে বলেন, ‘উপদ্বীপটি ইউক্রেনের অন্যান্য সমস্ত অংশের মতো দখলমুক্ত করা হবে যা দুর্ভাগ্যক্রমে এখনও দখলদারের অধীনে রয়েছে।’

বৃহস্পতিবার ইউক্রেন বলেছে, তাদের বাহিনী উপদ্বীপে অবতরণ করেছে এবং দ্বিতীয় যুদ্ধকালীন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি ‘বিশেষ অভিযান’ চলাকালীন দেশের পতাকা উত্তোলন করেছে।

ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, বিশেষ বাহিনীর সৈন্যরা ওলেনিভকা এবং মায়াক শহরের কাছে ক্রিমিয়ার পশ্চিম উপকূলে অবতরণ করেছে, যেখানে তারা ‘যুদ্ধে নিযুক্ত’ রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউক্রেনীয় ড্রোন ও মিসাইল প্রতিহতের দাবি রাশিয়ার

Update Time : ০১:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একটি বড় আকারের ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার ভোরে তারা জানায়, ৯টি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয় এবং আরও ৩৩টিকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

এছাড়াও মস্কো অঞ্চলের সীমান্তবর্তী কালুগা অঞ্চলের উপর দিয়ে ইউক্রেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একটি মিসাইলও গুলি করে নামানো হয় বলে জানানো হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ক্রিমিয়া কিয়েভের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানে হামলা আরও জোরালো হয়েছে।

ক্রিমিয়ান বন্দর শহর সেভাস্তোপলে মস্কোর নিযুক্ত গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন, খেরসনস প্রমোনটরিতে বেশ কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। কেপটি সেভাস্তোপলের উপকণ্ঠে অবস্থিত, যা রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহরের আবাসস্থল।

তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট করা ৪২টির মধ্যে সেই ড্রোনগুলো ছিল কিনা তা পরিষ্কার নয়।

রাজভোজায়েভ বলেছেন, সমস্ত বাহিনী এবং পরিষেবাগুলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে।

কিয়েভ বারবার বলেছে যে তারা ক্রিমিয়া ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। ড্রোন হামলার দু’দিন আগে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি সম্মেলনে বলেন, ‘উপদ্বীপটি ইউক্রেনের অন্যান্য সমস্ত অংশের মতো দখলমুক্ত করা হবে যা দুর্ভাগ্যক্রমে এখনও দখলদারের অধীনে রয়েছে।’

বৃহস্পতিবার ইউক্রেন বলেছে, তাদের বাহিনী উপদ্বীপে অবতরণ করেছে এবং দ্বিতীয় যুদ্ধকালীন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি ‘বিশেষ অভিযান’ চলাকালীন দেশের পতাকা উত্তোলন করেছে।

ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, বিশেষ বাহিনীর সৈন্যরা ওলেনিভকা এবং মায়াক শহরের কাছে ক্রিমিয়ার পশ্চিম উপকূলে অবতরণ করেছে, যেখানে তারা ‘যুদ্ধে নিযুক্ত’ রয়েছে।