ইউক্রেন যুদ্ধে যোগদানে পুতিনের দিক থেকে চাপ নেই : লুকাশেঙ্কো

  • Update Time : ০১:০২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / 135

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধে যোগদান করতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশকে চাপ দিচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। তবে তার দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ হলে জবাব দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন লুকাশেঙ্কো।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) অনলাইনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে লুকাশেঙ্কো বলেন, ইউক্রেনে পুতিনের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। এখন কিয়েভ ও মস্কোর সব বিষয় নিয়ে বসে আলোচনা করা উচিত।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে রাশিয়ার লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। এই যুদ্ধ শেষে ইউক্রেন রাশিয়ার প্রতি আর এতটা আক্রমণাত্মক আচরণ করবে না যেমনটা যুদ্ধের আগে করেছিল।

পুতিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র লুকাশেঙ্কো বলেন, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনা শুরু করা উচিত। এটি যে কোনো কূটনীতির নীতি, আমি তাই মনে করি। আমাদের আলোচনার টেবিলে বসতে হবে এবং সবকিছু নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ক্রিমিয়া, খেরসন, জাপোরিজিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক; সব বিষয়ে আলোচনা করার দরকার আছে।

এই যুদ্ধে বেলারুশকে সরাসরি জড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বেলারুশ জড়ালে কী লাভ হবে? কিছুই না।

তবে তিনি এ-ও বলেন, ইউক্রেনীয়রা আমাদের সীমান্তে অনুপ্রবেশ না করলে, আমরা কোনো দিন যুদ্ধে জড়াব না। তবে আমরা রাশিয়াকে সব সময় সহায়তা করে যাব। তারা আমাদের মিত্র।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো প্রতিবেশী দেশ তার দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালালে সবকিছু ব্যবহার করে জবাব দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন লুকাশেঙ্কো। ইউক্রেন, রাশিয়াসহ ন্যাটোর তিন দেশের সঙ্গে বেলারুশের সীমান্ত রয়েছে। সম্প্রতি বেলারুশ সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে পোল্যান্ড ও লাটভিয়া।

তিনি বলেন, একটাই হুমকি হতে পারে, সেটি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন। যদি পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া থেকে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু হয়, আমরা আমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেব।

লুকাশেঙ্কো বলেন, আর যদি ইউক্রেন থেকে শুরু হয় তাহলে শুধু পারমাণবিক অস্ত্রই ব্যবহার করা হবে না। আমাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে। আমরা কোনো সতর্কবার্তা দেব না। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণকেন্দ্রে হামলা চালাব।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউক্রেন যুদ্ধে যোগদানে পুতিনের দিক থেকে চাপ নেই : লুকাশেঙ্কো

Update Time : ০১:০২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধে যোগদান করতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশকে চাপ দিচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। তবে তার দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ হলে জবাব দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন লুকাশেঙ্কো।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) অনলাইনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে লুকাশেঙ্কো বলেন, ইউক্রেনে পুতিনের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। এখন কিয়েভ ও মস্কোর সব বিষয় নিয়ে বসে আলোচনা করা উচিত।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে রাশিয়ার লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। এই যুদ্ধ শেষে ইউক্রেন রাশিয়ার প্রতি আর এতটা আক্রমণাত্মক আচরণ করবে না যেমনটা যুদ্ধের আগে করেছিল।

পুতিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র লুকাশেঙ্কো বলেন, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনা শুরু করা উচিত। এটি যে কোনো কূটনীতির নীতি, আমি তাই মনে করি। আমাদের আলোচনার টেবিলে বসতে হবে এবং সবকিছু নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ক্রিমিয়া, খেরসন, জাপোরিজিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক; সব বিষয়ে আলোচনা করার দরকার আছে।

এই যুদ্ধে বেলারুশকে সরাসরি জড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বেলারুশ জড়ালে কী লাভ হবে? কিছুই না।

তবে তিনি এ-ও বলেন, ইউক্রেনীয়রা আমাদের সীমান্তে অনুপ্রবেশ না করলে, আমরা কোনো দিন যুদ্ধে জড়াব না। তবে আমরা রাশিয়াকে সব সময় সহায়তা করে যাব। তারা আমাদের মিত্র।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো প্রতিবেশী দেশ তার দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালালে সবকিছু ব্যবহার করে জবাব দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন লুকাশেঙ্কো। ইউক্রেন, রাশিয়াসহ ন্যাটোর তিন দেশের সঙ্গে বেলারুশের সীমান্ত রয়েছে। সম্প্রতি বেলারুশ সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে পোল্যান্ড ও লাটভিয়া।

তিনি বলেন, একটাই হুমকি হতে পারে, সেটি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন। যদি পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া থেকে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু হয়, আমরা আমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেব।

লুকাশেঙ্কো বলেন, আর যদি ইউক্রেন থেকে শুরু হয় তাহলে শুধু পারমাণবিক অস্ত্রই ব্যবহার করা হবে না। আমাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে। আমরা কোনো সতর্কবার্তা দেব না। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণকেন্দ্রে হামলা চালাব।