কানাডায় দাবানল: ইয়েলোনাইফ ছাড়ছেন ২০ হাজার বাসিন্দা

  • Update Time : ১১:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / 112

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কানাডার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ দাবানল। সেখানকার ইয়েলোনাইফ শহরে আগুন পৌঁছে যাওয়ার আগে ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

এই পরিস্থিতিতে দেশটির বড় দুটি এয়ারলাইন্স তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ভাড়া ও টিকেট পরিবর্তন ফি বাড়িয়ে দেয়ার কারণে।

বৃহস্পতিবার দাবানলের অবস্থান ছিলো ইয়েলোনাইফের ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। শনিবার নাগাদ এই আগুন শহরের কাছাকাছি চলে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কানাডার পুরো উত্তর-পশ্চিম ভূখণ্ডে অন্তত ২৪০টি দাবানল তৈরি হয়েছে। এ কারণে মঙ্গলবার সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়েলোনাইফ অঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। এদের সবাইকে শুক্রবার সকালের মধ্যে শহর ছাড়তে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারী বিমানে ওঠার জন্য যেখানে নাম রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছিল সেখানে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। স্থানীয় একটি স্কুলের বাইরে এ কার্যক্রম চলছিল।

তবে স্থানীয় সময় দুপুরের মধ্যে সরকারের কমিউনিকেশন বিভাগের ডিরেক্টর অমি কেনেডি জানান, চারশর বেশি মানুষ শহর ছাড়ার সুযোগ পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি কয়েক ঘণ্টা ধরে যারা লাইনে অপেক্ষমাণ আছে তাদের কাল আবার লাইনে দাঁড়াতে হবে, তাদের জন্য বিষয়টি হতাশার’।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার ২২টি ফ্লাইটে করে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হবে এবং তাতে ১৮০০ মানুষ সুযোগ পাবে।

এই পরিস্থিতিতে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা এয়ার কানাডা ও ওয়েস্টজেট বিমান সংস্থার সমালোচনা করছেন।

তবে এয়ার কানাডার মুখপাত্র সিবিসি নিউজকে বলেছেন, সরাসরি পরিচালিত ফ্লাইটগুলোর ভাড়া নির্ধারিত আছে এবং শহরটিতে এই বিমান সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম দ্বিগুণ করেছে।

কিন্তু ‘আগুনের কারণে বিমান উড্ডয়নের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে’ এবং সে কারণে শনিবারের কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

ওয়েস্টজেট বলছে, ভাড়া বাড়ানো ঠেকাতে তারা দাম সমন্বয় করছে। একই সাথে আগামী পাঁচদিন যারা ইয়েলোনাইফ শহর থেকে যাত্রা করবে তাদের রিশিডিউল ফি বাতিল করা হচ্ছে।

অন্য বিমান সংস্থাগুলোকেও শহর ছাড়তে আগ্রহী লোকজনকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, শহরের মেয়রের সাথে পরিস্থিতি নিয়ে তিনি যোগাযোগ রাখছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কানাডায় দাবানল: ইয়েলোনাইফ ছাড়ছেন ২০ হাজার বাসিন্দা

Update Time : ১১:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কানাডার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ দাবানল। সেখানকার ইয়েলোনাইফ শহরে আগুন পৌঁছে যাওয়ার আগে ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

এই পরিস্থিতিতে দেশটির বড় দুটি এয়ারলাইন্স তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ভাড়া ও টিকেট পরিবর্তন ফি বাড়িয়ে দেয়ার কারণে।

বৃহস্পতিবার দাবানলের অবস্থান ছিলো ইয়েলোনাইফের ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। শনিবার নাগাদ এই আগুন শহরের কাছাকাছি চলে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কানাডার পুরো উত্তর-পশ্চিম ভূখণ্ডে অন্তত ২৪০টি দাবানল তৈরি হয়েছে। এ কারণে মঙ্গলবার সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়েলোনাইফ অঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। এদের সবাইকে শুক্রবার সকালের মধ্যে শহর ছাড়তে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারী বিমানে ওঠার জন্য যেখানে নাম রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছিল সেখানে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। স্থানীয় একটি স্কুলের বাইরে এ কার্যক্রম চলছিল।

তবে স্থানীয় সময় দুপুরের মধ্যে সরকারের কমিউনিকেশন বিভাগের ডিরেক্টর অমি কেনেডি জানান, চারশর বেশি মানুষ শহর ছাড়ার সুযোগ পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি কয়েক ঘণ্টা ধরে যারা লাইনে অপেক্ষমাণ আছে তাদের কাল আবার লাইনে দাঁড়াতে হবে, তাদের জন্য বিষয়টি হতাশার’।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার ২২টি ফ্লাইটে করে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হবে এবং তাতে ১৮০০ মানুষ সুযোগ পাবে।

এই পরিস্থিতিতে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা এয়ার কানাডা ও ওয়েস্টজেট বিমান সংস্থার সমালোচনা করছেন।

তবে এয়ার কানাডার মুখপাত্র সিবিসি নিউজকে বলেছেন, সরাসরি পরিচালিত ফ্লাইটগুলোর ভাড়া নির্ধারিত আছে এবং শহরটিতে এই বিমান সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম দ্বিগুণ করেছে।

কিন্তু ‘আগুনের কারণে বিমান উড্ডয়নের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে’ এবং সে কারণে শনিবারের কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

ওয়েস্টজেট বলছে, ভাড়া বাড়ানো ঠেকাতে তারা দাম সমন্বয় করছে। একই সাথে আগামী পাঁচদিন যারা ইয়েলোনাইফ শহর থেকে যাত্রা করবে তাদের রিশিডিউল ফি বাতিল করা হচ্ছে।

অন্য বিমান সংস্থাগুলোকেও শহর ছাড়তে আগ্রহী লোকজনকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, শহরের মেয়রের সাথে পরিস্থিতি নিয়ে তিনি যোগাযোগ রাখছেন।