হিমাচলে ভূমিধস ও বন্যায় নিহত ৫০

  • Update Time : ১১:৫০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / 125

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের হিমাচল গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সিমলায় ধসের পর একটি মন্দির ভেঙে অন্ততপক্ষে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। সিমলায় দুইটি জায়গায় ধস নেমেছে। সবমিলিয়ে অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন। মান্ডিতে চকিত বন্যায় মারা গেছেন ১১ জন। সোলানেও ক্লাউড বার্স্ট বা মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির পর চকিত বন্যা হয়। সেখানেও সাতজন মারা গেছেন। মান্ডি জেলার সম্ভলে হড়পা বানে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন।

সিমলা-কালকা রেলপথের কিছু অংশ ভেসে গেছে। এই রেলপথকে ওয়ার্ল্ড হেজিটেজের মর্যাদা দিয়েছে জাতিসংঘ। পাহাড়ি নদীগুলির পানি অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিপাশা নদীর পানি বিপদসীমার কাছে পৌঁছে গেছে। প্রচুর সেতু ভেসে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় ধস নামছে। ফলে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।

ভারতের দুই পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে মোট সাতশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। কিছু রাস্তায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য সারাই করাও সম্ভব হচ্ছে না। কালকা-সিমলা রোডও নানা জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ কী করে প্রবল গতিতে পানি নেমে সবকিছু ভাসিয়ে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, সকলে যেন বাড়িতে থাকেন। নদীর কাছে না যান। সরকার সকলের কাছে ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছে।

সিমলায় সামার হিল এলাকায় একটি শিবমন্দিরের একাংশ ভেঙে পড়েছে। তার ফলে নয় জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে প্রশাসন আশঙ্কা করছে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিমলা, সোলান,মান্ডি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির সম্বাবনা আছে। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

উত্তরাখণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানেও ধস নেমেছে। নদীর পানি বেড়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


হিমাচলে ভূমিধস ও বন্যায় নিহত ৫০

Update Time : ১১:৫০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের হিমাচল গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সিমলায় ধসের পর একটি মন্দির ভেঙে অন্ততপক্ষে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। সিমলায় দুইটি জায়গায় ধস নেমেছে। সবমিলিয়ে অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন। মান্ডিতে চকিত বন্যায় মারা গেছেন ১১ জন। সোলানেও ক্লাউড বার্স্ট বা মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির পর চকিত বন্যা হয়। সেখানেও সাতজন মারা গেছেন। মান্ডি জেলার সম্ভলে হড়পা বানে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন।

সিমলা-কালকা রেলপথের কিছু অংশ ভেসে গেছে। এই রেলপথকে ওয়ার্ল্ড হেজিটেজের মর্যাদা দিয়েছে জাতিসংঘ। পাহাড়ি নদীগুলির পানি অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিপাশা নদীর পানি বিপদসীমার কাছে পৌঁছে গেছে। প্রচুর সেতু ভেসে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় ধস নামছে। ফলে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।

ভারতের দুই পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে মোট সাতশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। কিছু রাস্তায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য সারাই করাও সম্ভব হচ্ছে না। কালকা-সিমলা রোডও নানা জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ কী করে প্রবল গতিতে পানি নেমে সবকিছু ভাসিয়ে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, সকলে যেন বাড়িতে থাকেন। নদীর কাছে না যান। সরকার সকলের কাছে ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছে।

সিমলায় সামার হিল এলাকায় একটি শিবমন্দিরের একাংশ ভেঙে পড়েছে। তার ফলে নয় জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে প্রশাসন আশঙ্কা করছে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিমলা, সোলান,মান্ডি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির সম্বাবনা আছে। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

উত্তরাখণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানেও ধস নেমেছে। নদীর পানি বেড়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই