১২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

  • Update Time : ১১:১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩
  • / 178

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থনকারী ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২১ জুলাই) রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তানের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের অনেকেই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা এবং অনেকেই অস্ত্র উৎপাদন ও প্রতিরক্ষা গবেষণার সঙ্গে যুক্ত।

মার্কিন অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ধাতব ও খনি খাতে রাশিয়ার রাজস্ব আয় কমাতে, ভবিষ্যৎ জ্বালানি সক্ষমতাকে দুর্বল করতে, মস্কোর সামরিক সক্ষমতা ও যুদ্ধক্ষেত্রে সমরাস্ত্র সরবরাহ রুখে দিতে এবং অর্থনৈতিক ভিত্তি দুর্বলসহ ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করে এমন ইলেকট্রনিকস ও অন্যান্য পণ্য যাতে রাশিয়া না পায়, সেজন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ওই সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন সম্পদ, তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পদ জব্দ করা হবে। শুধু তাই নয়, মার্কিন কোনো নাগরিক বা এই দেশে বসবাসরত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তাদের লেনদেন করার সুযোগ থাকবে না।

এদিকে, মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্তহীন আক্রমণের’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, হোয়াইট হাউসের এ ধরনের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্বকে আরও সুসংহত করতে সহায়তা করবে।

এর আগে, বুধবার (১৯ জুন) দুর্নীতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তসহ বিভিন্ন অভিযোগে চার দেশের ৩৯ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে নিকারাগুয়ার ১৩ জন, গুয়াতেমালার ১০ জন, হন্ডুরাসের ১০ জন এবং এল সালভাদরের ৬ জনের নাম রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


১২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

Update Time : ১১:১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থনকারী ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২১ জুলাই) রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তানের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের অনেকেই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা এবং অনেকেই অস্ত্র উৎপাদন ও প্রতিরক্ষা গবেষণার সঙ্গে যুক্ত।

মার্কিন অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ধাতব ও খনি খাতে রাশিয়ার রাজস্ব আয় কমাতে, ভবিষ্যৎ জ্বালানি সক্ষমতাকে দুর্বল করতে, মস্কোর সামরিক সক্ষমতা ও যুদ্ধক্ষেত্রে সমরাস্ত্র সরবরাহ রুখে দিতে এবং অর্থনৈতিক ভিত্তি দুর্বলসহ ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করে এমন ইলেকট্রনিকস ও অন্যান্য পণ্য যাতে রাশিয়া না পায়, সেজন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ওই সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন সম্পদ, তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পদ জব্দ করা হবে। শুধু তাই নয়, মার্কিন কোনো নাগরিক বা এই দেশে বসবাসরত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তাদের লেনদেন করার সুযোগ থাকবে না।

এদিকে, মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্তহীন আক্রমণের’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, হোয়াইট হাউসের এ ধরনের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্বকে আরও সুসংহত করতে সহায়তা করবে।

এর আগে, বুধবার (১৯ জুন) দুর্নীতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তসহ বিভিন্ন অভিযোগে চার দেশের ৩৯ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে নিকারাগুয়ার ১৩ জন, গুয়াতেমালার ১০ জন, হন্ডুরাসের ১০ জন এবং এল সালভাদরের ৬ জনের নাম রয়েছে।