ব্রিটেনে কোর্স শেষের আগে শিক্ষার্থীরা পাবেন না ওয়ার্ক পারমিট
- Update Time : ০৩:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
- / 120
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটেনে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখন থেকে ওয়ার্ক পারমিটে সুইচ করতে পারবে না এমন ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেনের হোম অফিস। নতুন এই নিয়ম কার্যকর হওয়ায় বিদেশী শিক্ষার্থীরা এখন থেকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স শেষ না করে ওয়ার্ক পারমিটে ভিসা পরিবর্তন করতে পারবে না।
‘ব্রিটেনের শীর্ষ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের সিংহ ভাগই আসে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট থেকে’ এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের প্রথম সারির দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
রয়্যাল কলেজ অব আর্টসের ৫৩.৮ শতাংশ, ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্ট ৫৩.৭ শতাংশ, লন্ডন বিজনেস স্কুলের ৪৪.৬ শতাংশ, কিংস কলেজের ৩২. ২ শতাংশ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ৩১ শতাংশই বিদেশী শিক্ষার্থী।
তবে বিদেশী শিক্ষার্থীদের বড়ো একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স শেষ না করেই ভিসা পরিবর্তন করায় বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদেশী শিক্ষার্থীদের এই প্রবণতা ঠেকাতেই নতুন নিয়ম করলো ব্রিটেনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
ব্যারিস্টার ও মানবাধিকার আইনজীবী মনোয়ার হোসেন বলেন, স্টুডেন্টরা যদি না পড়ে, অল্প কিছুদিন পড়েই বলে আমরা স্কিল ওয়ার্কার- তা ইউনিভার্সিটিগুলোর জন্য সমস্যা হয়।
আইনজীবীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ও অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনতেই এই এধরণের কঠোর নীতি অবলম্বন করছে কনসারভেটিভ সরকার।
ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন আরও জানান, শিক্ষার্থীরা শুধু যেই কোর্সের জন্য আসেন- তা শেষ হলেই কাজের অনুমতি পাবেন।
কালাম সলিসিটর’সের প্রিন্সিপাল সলিসিটর কালাম চৌধুরী বলেন, অনেকেই চাকরিতে যুক্ত হয়ে ইউনিভার্সিটিতে না গেলে ইউনিভার্সিটির ক্ষতি হয়।
এদিকে অভিবাসন আইন পরিবর্তনের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন হেলথ চার্জ বাড়ছে ৬৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের জন্য আগে একজন আবেদনকারীকে যেখানে প্রতি বছর ৬২৪ পাউন্ড গুনতে হতো, ১৩ জুলাই থেকে তাকেই হেলথ সার্চ চার্জ দিতে হচ্ছে ১ হাজার ৩৫ পাউন্ড।