ইরানে আরও কঠোর হয়ে ফিরলো ‘নৈতিকতা পুলিশ

  • Update Time : ০১:৪৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / 130

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হিজাব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে তথাকথিত ‘নৈতিকতা পুলিশ’কে আবারও মাঠে নামিয়েছে ইরান। রোববার দেশটির আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর মুখপাত্র সাইদ মোনতাজেরালমাহদি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশ টহল এখন পায়ে হেঁটে এবং যানবাহন নিয়ে এমন লোকদের দমন করতে কাজ করছে, যাদের পর্দা ইসলামী প্রজাতন্ত্রে উপযুক্ত বলে মনে করা হয় না।

তাকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, নৈতিকতা পুলিশ ‘সতর্কতা জারি করবে এবং তারপরে বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনবে, যারা আদর্শের বাইরে পর্দা করার পরিণতির জন্য উদ্বিগ্ন না হয়ে নিজেদের আদর্শ ভঙ্গকারী আচরণের ওপর জোর দেয়’।

মোনতাজেরালমাহদি বলেন, পুলিশ আশা করে যে সবাই স্বীকৃত পোশাক কোড মেনে চলবে যাতে অফিসাররা ‘অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ মিশন’ মোকাবেলা করার জন্য আরও বেশি সময় পায়।

কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নারীদের এবং কখনও কখনও পুরুষদের পোশাকের ধরণ সংশোধন করার জন্য সতর্ক করার। তারা নারীদেরকে হিজাব ঠিক করার আদেশ দেয়া থেকে শুরু করে আরও ঢিলেঢালা এবং উপযুক্ত বলে বিবেচিত পোশাক পরার পরামর্শ দিতে পারবেন।

নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করা মহিলাদের গ্রেপ্তার করা যেতে পারে এবং পুলিশ দ্বারা পরিচালিত তথাকথিত পুনঃশিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

ড্রেস কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক হওয়ার পর পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ১০ মাস পর এই খবর এলো৷ তার মৃত্যু দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়। এসময় কয়েক মাস ধরে ইরানের রাস্তায় প্রায় অনুপস্থিত ছিল নৈতিকতা পুলিশ।

বিক্ষোভের পর, ইরানি কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলক হিজাব আইন প্রয়োগ থেকে বিরত ছিল, যা দেশটির ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পরপরই আরোপ করা হয়েছিল।

গত কয়েক মাস ধরে পুলিশ হিজাব লঙ্ঘনকারীদের শনাক্ত করতে নজরদারি ক্যামেরা ব্যবহার করছে, যাদেরকে সতর্কীকরণ, জরিমানা বা আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এমনকি, ড্রেস কোড লঙ্ঘন করা ব্যক্তিদের গাড়িতে থাকা অবস্থায় তাদের গাড়ি জব্দও করা যেতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইরানে আরও কঠোর হয়ে ফিরলো ‘নৈতিকতা পুলিশ

Update Time : ০১:৪৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হিজাব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে তথাকথিত ‘নৈতিকতা পুলিশ’কে আবারও মাঠে নামিয়েছে ইরান। রোববার দেশটির আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর মুখপাত্র সাইদ মোনতাজেরালমাহদি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশ টহল এখন পায়ে হেঁটে এবং যানবাহন নিয়ে এমন লোকদের দমন করতে কাজ করছে, যাদের পর্দা ইসলামী প্রজাতন্ত্রে উপযুক্ত বলে মনে করা হয় না।

তাকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, নৈতিকতা পুলিশ ‘সতর্কতা জারি করবে এবং তারপরে বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনবে, যারা আদর্শের বাইরে পর্দা করার পরিণতির জন্য উদ্বিগ্ন না হয়ে নিজেদের আদর্শ ভঙ্গকারী আচরণের ওপর জোর দেয়’।

মোনতাজেরালমাহদি বলেন, পুলিশ আশা করে যে সবাই স্বীকৃত পোশাক কোড মেনে চলবে যাতে অফিসাররা ‘অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ মিশন’ মোকাবেলা করার জন্য আরও বেশি সময় পায়।

কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নারীদের এবং কখনও কখনও পুরুষদের পোশাকের ধরণ সংশোধন করার জন্য সতর্ক করার। তারা নারীদেরকে হিজাব ঠিক করার আদেশ দেয়া থেকে শুরু করে আরও ঢিলেঢালা এবং উপযুক্ত বলে বিবেচিত পোশাক পরার পরামর্শ দিতে পারবেন।

নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করা মহিলাদের গ্রেপ্তার করা যেতে পারে এবং পুলিশ দ্বারা পরিচালিত তথাকথিত পুনঃশিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

ড্রেস কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক হওয়ার পর পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ১০ মাস পর এই খবর এলো৷ তার মৃত্যু দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়। এসময় কয়েক মাস ধরে ইরানের রাস্তায় প্রায় অনুপস্থিত ছিল নৈতিকতা পুলিশ।

বিক্ষোভের পর, ইরানি কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলক হিজাব আইন প্রয়োগ থেকে বিরত ছিল, যা দেশটির ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পরপরই আরোপ করা হয়েছিল।

গত কয়েক মাস ধরে পুলিশ হিজাব লঙ্ঘনকারীদের শনাক্ত করতে নজরদারি ক্যামেরা ব্যবহার করছে, যাদেরকে সতর্কীকরণ, জরিমানা বা আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এমনকি, ড্রেস কোড লঙ্ঘন করা ব্যক্তিদের গাড়িতে থাকা অবস্থায় তাদের গাড়ি জব্দও করা যেতে পারে।