ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ছয় মাসে ২৮৯ শিশুর মৃত্যু

  • Update Time : ০৯:২০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
  • / 152

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রচেষ্টাকালে ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) অন্তত ২৮৯ শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপি’র।

সংস্থাটি জানিয়েছে, শিশুমৃত্যুর এ সংখ্যা গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

বিশ্বব্যাপী অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক ইউনিসেফের প্রধান ভেরেনা কেনায়ুস বলেন, এই মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। প্রকৃত পরিসংখ্যান আরও বেশি হতে পারে কারণ, মধ্য ভূমধ্যসাগরে অনেক জাহাজ ডুবিতে সকলেই মারা গেছে যা রেকর্ড করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে, আনুমানিক ১১ হাজার ৬০০ শিশু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

কেনায়ুস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই শিশুরা শুধু আমাদের চোখের সামনেই মারা যাচ্ছে না, বরং মনে হচ্ছে আমরা চোখ বন্ধ রেখেছি।

তবে এসব শিশুকে জানাতে হবে যে তারা একা নয় উল্লেখ করে কেনায়ুস আরও বলেন, ভূমধ্যসাগরে শিশুদের জীবনের সুরক্ষা দিতে বিশ্বনেতাদের জরুরি উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে প্রায় তিন হাজার ৩০০ শিশু ইউরোপে প্রবেশ করেছে।

এ পরিস্থিতিতে এসব শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দিকটি আরও বিস্তৃত করার আহবান জানিয়েছে ইউনিসেফ

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ছয় মাসে ২৮৯ শিশুর মৃত্যু

Update Time : ০৯:২০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রচেষ্টাকালে ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) অন্তত ২৮৯ শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপি’র।

সংস্থাটি জানিয়েছে, শিশুমৃত্যুর এ সংখ্যা গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

বিশ্বব্যাপী অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক ইউনিসেফের প্রধান ভেরেনা কেনায়ুস বলেন, এই মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। প্রকৃত পরিসংখ্যান আরও বেশি হতে পারে কারণ, মধ্য ভূমধ্যসাগরে অনেক জাহাজ ডুবিতে সকলেই মারা গেছে যা রেকর্ড করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে, আনুমানিক ১১ হাজার ৬০০ শিশু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

কেনায়ুস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই শিশুরা শুধু আমাদের চোখের সামনেই মারা যাচ্ছে না, বরং মনে হচ্ছে আমরা চোখ বন্ধ রেখেছি।

তবে এসব শিশুকে জানাতে হবে যে তারা একা নয় উল্লেখ করে কেনায়ুস আরও বলেন, ভূমধ্যসাগরে শিশুদের জীবনের সুরক্ষা দিতে বিশ্বনেতাদের জরুরি উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে প্রায় তিন হাজার ৩০০ শিশু ইউরোপে প্রবেশ করেছে।

এ পরিস্থিতিতে এসব শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দিকটি আরও বিস্তৃত করার আহবান জানিয়েছে ইউনিসেফ