ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারত, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি

  • Update Time : ১০:২৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
  • / 109

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারত, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি
উত্তর ভারতে তিন দিনের তুমুল বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এ সময় শিশুসহ অন্তত ২৮ জন মারা গেছেন। তাদের বেশিরভাগই হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলেছে, আগামী কয়েক দিন উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে আরও বেশি বৃষ্টি হতে পারে।

হিমাচল প্রদেশে ভূমিধস ও বন্যায় অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় এই অঞ্চলের অনেক স্থানের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু সোমবার বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার জন্য ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন। উত্তরাখণ্ডেও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ভূমিধসের কারণে গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দিল্লি শহর প্লাবিত হওয়ায় সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরটির কিছু এলাকার পরিস্থিতি বেশ খারাপ। ওইসব এলাকার নর্দমাগুলোর পানি উপচে পড়েছে। রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির কারণে সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে।

সোমবার এ প্রসঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে হরিয়ানা হাতিনিকুণ্ড ব্যারাজ থেকে এক লাখ কিউসেক পানি যমুনা নদীতে ছেড়ে দিয়েছে। এতে বন্যার আশঙ্কায় দিল্লির সরকার বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোর ওপর নজর রাখার জন্য ১৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারত, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি

Update Time : ১০:২৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারত, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি
উত্তর ভারতে তিন দিনের তুমুল বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এ সময় শিশুসহ অন্তত ২৮ জন মারা গেছেন। তাদের বেশিরভাগই হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলেছে, আগামী কয়েক দিন উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে আরও বেশি বৃষ্টি হতে পারে।

হিমাচল প্রদেশে ভূমিধস ও বন্যায় অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় এই অঞ্চলের অনেক স্থানের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু সোমবার বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার জন্য ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন। উত্তরাখণ্ডেও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ভূমিধসের কারণে গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দিল্লি শহর প্লাবিত হওয়ায় সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরটির কিছু এলাকার পরিস্থিতি বেশ খারাপ। ওইসব এলাকার নর্দমাগুলোর পানি উপচে পড়েছে। রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির কারণে সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে।

সোমবার এ প্রসঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে হরিয়ানা হাতিনিকুণ্ড ব্যারাজ থেকে এক লাখ কিউসেক পানি যমুনা নদীতে ছেড়ে দিয়েছে। এতে বন্যার আশঙ্কায় দিল্লির সরকার বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোর ওপর নজর রাখার জন্য ১৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে।